ঢাকাসোমবার , ১২ আগস্ট ২০২৪
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নিত্যপণ্যের দাম কমানোর আলটিমেটাম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
আগস্ট ১২, ২০২৪ ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার::এক সপ্তাহের মধ্যে দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৩ দপ্তর ও সংস্থাকে আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে এসব দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের পদত্যাগের আহবান জানিয়েছে তারা।

এক সপ্তাহের মধ্যে দ্রব্যমূল্য কমানোর আলটিমেটামগতকাল রবিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময়সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা এ আলটিমেটাম দেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকিসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ মতবিনিময়সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘আমরা এত দিন নানা ধরনের অন্যায়, অনিয়মের সঙ্গে ছিলাম। এখন আমাদের শপথ করতে হবে—আমরা আর দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অন্যায়, সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি, দখলদারি করব না। এটা আমাদের মনে ধারণ করতে হবে। এরপর রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে।

তা না হলে আমাদের এত আত্মত্যাগ বৃথা হয়ে যাবে।’ এ সময় তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতো প্রতিটি সেবা খাতের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করার আহবান জানান।

শিক্ষার্থীদের বাজার মনিটরিং কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘বাজার ব্যবস্থাপনার অনিয়ম ও অবৈধ সিন্ডিকেটের নথিপত্র ছাত্রদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এগুলো শিক্ষার্থীরা বিশ্লেষণ করবে।

ফেসবুকে ভুয়া জিনিস ঘুরছে। শিক্ষার্থীদের সেসব জিনিস নজরদারি করতে হবে। সবাই পাশে দাঁড়ালে যে বাংলাদেশ আমরা চেয়েছিলাম সেটা নির্মাণ সম্ভব হবে।’

বাজার সিন্ডিকেটের হোতা করপোরেট গ্রুপ উল্লেখ করে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘যেখানে হাত দিচ্ছি, সেখানেই অনিয়ম দেখছি। অনেকের সামনে মিডিয়া ক্যামেরা নিয়ে গেছি। এর পরও অনেক অনিয়ম বন্ধ করতে পারিনি। আমরা তোমাদের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করতে চাই। তোমরা যেখানে হাত দেবে, সেখানে সোনা ফলবে।’

মহাপরিচালক আরো বলেন, চাঁদাবাজি কমলেও পণ্যের দাম কমছে না। সেটাও দেখতে হবে। শ্যামবাজার থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত তিনটি পয়েন্টে চাঁদাবাজি হয়; সেটি বন্ধ করতে হবে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিয়া সুলতানার সঞ্চালনায় মতবিনিময়সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণা) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অনেকে।

আপনার মন্তব্য লিখুন