নিজস্ব প্রতিবেদক :নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর পরিকল্পনায় সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে হত্যা করা হয়। শনিবার (১৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু জানায়, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সাংবাদিক নাদিমকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সাংবাদিক নাদিম হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে র্যাব। শনিবার দুপুরে র্যাব-১৩ এর সহযোগিতায় সাংবাদিক নাদিমকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু, মনির ও জাকিরকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপির চেয়ারম্যান মাহমুদুলকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নামল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। নিহত সাংবাদিক নাদিম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ছিলেন।
মাহমুদুল আলম বাবু সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাকে শুক্রবার রাতে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। তার নির্দেশেই সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজন ও সহকর্মীদের। পুলিশও প্রাথমিক তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।
গত বুধবার রাত ১০টার দিকে বাড়িতে ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি মোড়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম। এ সময় তাকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।