নিজস্ব প্রতিবেদক, লালমনিরহাট।। লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় এক নাবালিকা কুমারী কিশোরীর কোলে জন্ম নিয়েছে পুত্র সন্তান। সন্তানকে কোলে নিয়ে চোখের পানি ফেলছে ওই কিশোরী। সন্তানের পিতৃ পরিচয় চায় কুমারী মাতা। ধর্ষণের পর গর্ভবতী হয় নাবালিকা ওই কিশোরী। এ ঘটনায় আজও অাসামি ধরতে পারেনি থানা পুলিশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান এই তথ্য প্রযুক্তি দেশে পুলিশ আজও আসামি ধরতে না পাড়া মানে জেলা পুলিশের ব্যর্থতা। অথচ আদালতে মামলাও বিচারাধীন। ধর্ষণের স্বীকার ওই কিশোরী লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দঃ দলগ্রাম এলাকার সামছুল হকের মেয়ে। ধর্ষণের ঘটনায় গত ২০ এপ্রিল ওই অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে রবিউল নামে একজনকে আসামী করে কালীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে ধর্ষণের স্বীকার ওই কিশোরীর সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে রবিউল নামে এক বখাটে। কিছুদিন পরে অসুস্থ হলে বিয়ের জন্য চাপ দেয় কিশোরীর পরিবার। কিন্তু ধর্ষক রবিউল বিয়ে করতে রাজি না হয়ে কিছু টাকা দিয়ে সন্তানটিকে নষ্ট করতে বলে। ধর্ষণের স্বীকার ওই কিশোরী সন্তান নষ্ট করার জন্য অস্বীকৃতি জানালে তাকে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে ওই বখাটে। উপায় না পেয়ে ২০ এপ্রিল কালীগঞ্জ থানায় গিয়ে পুলিশের সহয়তা চান কিশোরীর পরিবার। পরে কিশোরী নিজে বাদি হয়ে কালীগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতে মেয়েটি অসুস্থ হলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেয়ার পর গত ৪জুলাই ওই কিশোরী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাত জানিয়ে নিষ্পাপ শিশুটি যেন পিতৃ-পরিচয় পায় এ দাবী তোলেন ওই এলাকাবাসী।
কিশোরীর মা ফাতেমা বলেন, মামলা করার পরেও আসামীকে পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না, কত আসামি ধরা পড়ে অথচ গরীবের মামলা বলে পুলিশ আজও আসামি ধরতে পারলো না। এর বিচার আমরা কোথায় পাবো। এমন অবস্থায় আমার মেয়ের কি হবে। শিশুটি কি তার বাবার পরিচয় থেকে বঞ্চিত হবে ! এ বিষয় কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই আসামীকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তিনি পলাতক থাকায় থাকে গ্রেফতার করা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।