জামালপুর প্রতিনিধি: সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের হত্যাকাণ্ডের একমাস পূর্ণ হলো আজ। তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে মূল আসামি চেয়ারম্যানপুত্র ফাহিম ফয়সাল রিফাতসহ ১৭ জন।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাতে সেদিনের সেই ভয়াবহ স্মৃতি মনে করে নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত জাগো নিউজকে বলেন, আজ আমার বাবার হত্যাকাণ্ডের একমাস পূর্ণ হলো। ১৪ জুন রাত ১০টা ১৭ মিনিটে আমার বাবাকে আক্রমণ করেন চেয়ারম্যান বাবু ও তার ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাতসহ তাদের গুন্ডাবাহিনী। মাত্র দুই মিনিটেই বাবাকে শেষ করে দেয় তারা। আমরা হই পিতৃহারা। এ ঘটনায় এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে এজাহারভুক্ত ১৭ আসামি। আদৌ তারা ধরা পড়বে কিনা সেটাও জানি না।
অভিযোগের সুরে জান্নাত আরও বলেন, বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানার দায়সারা বক্তব্য আর অবহেলার কারণে একে একে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাতসহ বাকি আসামিরা। তাই ১৯ জুন নাদিম হত্যার মামলাটি জামালপুর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে এখনও কেন বাকি আসামিরা গ্রেফতার হচ্ছে না সেটা প্রশ্ন রাখেন তিনি।
এ বিষয়ে জামালপুর ডিবি পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আরমান আলী বলেন, এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন আসামি কারাগার রয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। এরই মধ্যে মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু সাংবাদিক নাদিম হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এর আগে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে ১৪ জুন রাতে বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় বাবু চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ৩টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় বাবু চেয়ারম্যানসহ ১৬ আসামি কারাগারে রয়েছে।