মুহাম্মদ রাসেল উদ্দিন, কুড়িগ্রাম।। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত। ‘ফাগুনের ছোঁয়ায়, পলাশ-শিমুলের বনে লেগেছে আগুন, রাঙ্গা ফুলের মেলাথ। শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে আবারও ফিরে এলো প্রকৃতির বুকে ঋতুরাজ বসন্ত।
রঙিন বন ফুলের সমারোহে বাংলা সেজেছে বর্ণিল সাজে। তেমনি নতুন সাজে যেন সেজেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার আম গাছগুলো। আমের মুকুলে ভরপুর আর গদ্ধে মুখরিত এ উপজেলা, শোভা পড়াচ্ছে নিজস্ব মহিমায়। মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে গাছ গুলো। প্রায় ৪০ শতাংশ আম গাছেই এসেছে মুকুল। বাগান মালিক ও আম চাষীরা আশা করছেন বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আমের বাম্পার ফলন হবে।
আম ফলটি দুধ দিয়ে এ অঞ্চলের আত্মীয়-স্বজন ও মেয়ে জামাইকে আদর করে খাওয়ানো হয়ে থাকে। শুধু মেয়ে জামাইকে নয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অথিতিকে অন্যান্য ফলের চেয়ে আম খাওয়ার ধুম পড়ে যায় পল্লী অঞ্চলের বাসা বাড়ীতে। তাই আমের প্রতি এ অঞ্চলের মানুষের গুরুত্ব অনেক বেশি।
এ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে জানা যায়, অন্যান্য ফলের চেয়ে আম ফলটি এখানে অনেক সু স্বাদু ফল হিসাবে বিখ্যাত। এ অঞ্চলের বিভিন্ন জাতের আম পাওয়া যায় তাদের মধ্যে কালুয়া, হাড়িভাঙ্গা, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রোফালী, মলিকা, সুর্বণ্য রেখা,মিসরা ভোগ উলেখযোগ্য। আম ফলটি খাওয়া ছাড়াও এটি বাণিজ্যিক ভাবে হাট-বাজারে বিক্রি করে সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরে আসে। তাই আম গাছ বেশি বেশি করে লাগানো হয়ে থাকে। ভাল ফলন পাওয়ার জন্য আম চাষী ও বাগান মালিকরা বাগানের পরিচর্যা করে আসছেন। যাতে করে গাছে মুকুল বা গুটি বাঁধার সময় কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয়।
স্থানীয় ব্যাক্তিরা জানান, তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে বিভিন্ন জাতের আম গাছের বাগান রয়েছে। এখানকার আম উপজেলার চাহিদা মিটিয়েও বাণিজ্যিক ভাবে হাট-বাজারে বিক্রি করে অনেক দরিদ্র পরিবারে সফলতা ফিরে এসেছে। গত মৌসুমের চেয়ে চলতি মৌসুমে আমের মুকুল বেশি দেখা যাচ্ছে। মুকুল ধরে রাখতে প্রতিটি গাছের পরিচর্চাও শুরু করে দিয়েছে কৃষক-কৃষাণীরা।
ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে আমের মুকুল বেড় হতে একটু দেড়ি হয়েছে। দেরি হলেও প্রায় সব আম গাছেই মুকুল দেখা যাচ্ছে। আম চাষিরা আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন।