রবিবার (২৯ নভেম্বর) ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ডঃ জেবুন্নেছা বিশ হাজার টাকার মুচলেকায় তার জামিন প্রদান করেন।
এর আগে নিম্ম আদালতে জামিন না পেয়ে আওয়ামীলীগ নেতা নয়নের আইনজীবী শাহাদাত আল সাইদ দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে মিস কেইস করেন।
আইনজীবী শাহাদাত আল সাইদ বলেন- রাষ্ট্রপক্ষের পিপি হাফেজ আহাম্মদের বিরোধীতা সত্বেও আদালত আমার মক্কেলের জামিন মঞ্জুর করেন।ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষনের আলামত না মেলায় ও মামলার এজাহারে গুরুতর অসঙ্গতির কারন দেখিয়ে আমি আমার মক্কেলের পক্ষে জামিন আবেদন করলে আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিন দেন।
তিনি আরো বলেন- ভিকটিমের পিতার কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় সে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইন্ধনে ধর্ষনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা করালে ধর্ষনের আলমত মেলেনি এমনকি শারীরিকভাবে আহত হওয়ার কোন প্রমানও পাওয়া যায়নি।
পিপি হাফেজ আহমদ বলেন- আদালতে জামিনের বিরোধীতা করেছি তবে ধর্ষনের আলমত না মেলায় বিচারক আমার আবেদন নাকচ করে অভিযুক্তকে জামিন প্রদান করেন।
উল্লেখ্য যে, সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া গ্রামের এক কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগ এনে তার মা রিনা বেগম স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি তমিজ উদ্দিন নয়নের বিরুদ্ধে গত ৯ই অক্টোবর সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ ওই দিন আওয়ামীলীগ নেতা নয়নকে গ্রেফতার করে আদালতের আদেশে সাত দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে ধর্ষনের বিষয়ে কোন তথ্য উদঘাটন করতে না পেরে পুলিশ নয়নকে ফেনী কারাগারে প্রেরণ করে।গ্রেফতারের পর আওয়ামীলীগ নেতার পরিবার পাওনা টাকা চাওয়ায় তাকে ধর্ষন মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করে তার মুক্তি দাবী করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক নওশের কোরেশী জানায়- ডাক্তারী পরীক্ষায় ধর্ষনের প্রমান না পাওয়ায় আসামীর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আলামত সিআইডির ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে মামলার বিষয়ে পরবর্তী প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।