নিজস্ব প্রতিবেদক।। করোনা বিস্তার রোধে ঘরের বাইরে সবার মাস্ক নিশ্চিত করতে শাস্তি হিসেবে বেতের বাড়ি দেয়ার প্রস্তাব এসেছে। এ বিষয়টি আইনে না থাকায় প্রয়োজনে আইনি সুযোগ তৈরির প্রস্তাবও করা হয়েছে।
সম্প্রতি লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের আলোচনায় বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি উঠে আসে।
বৈঠকে অংশ নেয়া কর্মকর্তারা পুলিশকে দিয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টিও আলোচনায় আনেন। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, যদি কেউ মাস্ক ব্যবহার না করে তাহলে তাকে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করার ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি যে কোনও আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
সভা সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনার বিস্তার রোধে ঘরের বাইরে সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিলো। কিন্তু এ নির্দেশনা অনেকেই মানছেন না। এ কারণে বৈঠকে থাকা এক কর্মকর্তা মাস্ক না পরে ঘরের বাইরে বের হলে ‘বেতের বাড়ি’ দেয়ার প্রস্তাব করেন। তবে প্রচলিত আইনে বেতের বাড়ি দেয়ার সুযোগ না থাকায় আরেক আলোচক প্রয়োজনে আইনি সুযোগ তৈরির প্রস্তাব করেন।
সভায় অংশ নেয়া সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এরই পরিপ্রেক্ষিতে বেতের বাড়ির বিষয়টি কীভাবে আইনি পরিকাঠামোতে আনা হবে, তা নিয়ে ভাবছে সরকার। জরুরি জনস্বার্থ বিষয়ক প্রয়োজনে সরকার বেতের বাড়ি দেয়ার প্রভিশন আইনে যুক্ত করতে পারে। এ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বৈঠক শেষে সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, জরুরি কাজে ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য সরকার বারবার নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু অনেকেই এ নির্দেশনা অমান্য করছেন। এক্ষেত্রে বাইরে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার না করলে সরকার কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রয়োজনে প্রত্যেককে দুটো মাস্ক ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে সরকার।