পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জমি ক্রয় বাবদ ১৬ বছর আগে ইউসুফ মুসল্লী নামে এক ব্যক্তিকে ৮ লাখ টাকা দেন সুনীল চন্দ্র দাস। এরপর থেকে বারবার চাওয়া সত্যেও টাকা কিংবা জমি কিছুই দিচ্ছেন না ইউসুফ।
এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন সুনীল। টাকার অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারেননি। অবশেষে শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাতে নিজ বাড়িতে মারা যান সুনীল। তার শেষকৃত্যের আগে পাওনা চাইতে মরদেহ দেনাদারের বাড়ি নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর বাজারের বাসিন্দা ইউসুফ মুসল্লীর বাড়ির দরজার সামনে অবস্থান করেন তারা।
মৃত সুনীল চন্দ্র দাসের স্ত্রী মাধুরি বলেন, ‘আমি আমার স্বামীসহ অনেক দিন তার এই বাড়িতে আসছি। কিন্তু টাকা বা জমি না দিয়ে তাড়িয়ে দিত। টাকার চিন্তায় আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়ে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারিনি। এখন টাকা না দেয়া পর্যন্ত লাশ নিয়ে এখানে অবস্থান করব।’
সুনীলের শ্যালক মানিক দাস বলেন, ‘আমরা এখানে পাওনা আদায়ের জন্য অবস্থান করছি। বুঝে পেলে লাশ সৎকারের জন্য নিয়ে যাব। না পেলে আমরা এখান থেকে যাব না।’
এদিকে ইউসুফ মুসল্লীর বাড়ির দরজা বন্ধ রয়েছে। ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কেউ সারা দিচ্ছে না। তার সঙ্গে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘এই টাকার জন্য আমিও আগে কয়েকবার সালিশ-বৈঠক করেছি। কিন্তু সে টাকা বা জমি কোনোটাই পরিশোধ করেনি। আজ সুনীল মারা গেলে তার পরিবার ইউসুফ মুসল্লীর বাড়ির সামনে লাশ নিয়ে অবস্থান করছে। তার সঙ্গে আমি যোগাযোগের চেষ্টা করছি। হয়তো আজকের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’
বিকেলে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, মৃত সুনীলের লাশ এখনো ইউসুফের বাড়ির সামনে রয়েছে। যার কাছে টাকা বা জমি পাবে সে সত্যতা শিকার করেছে। এরই মধ্যে মৃতের স্বজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আপাতত সৎকারের জন্য কিছু টাকা ইউসুফ মুসল্লী দেবে। পরে বাকি টাকা পরিশোধ করবে। তা না হলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।