পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ নির্বাচনী মাঠে টিকতে না পেরে বিরোধী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে আসন্ন দুমকী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ-পিরিচ মার্কার প্রার্থী কাওসার আমিন হাওলাদার ওরফে মাল্টা কাওসারের বিরুদ্ধে।
গত ১৬’মে থেকে ১৭’মে তারিখ পর্যন্ত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে মুরাদিয়া ইউনিয়নে আনারস মার্কার তিন কর্মীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুজনকেই সরাসরি মেরেছেন মাল্টা কাওসার-এমন অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। অপর দিকে গত ১৬’মে রাতে (বৃহস্পতিবার) হামলার জেরে আজ শুক্রবার ১৭’মে দুপুর ১২ টার দিকে বোর্ড অফিস বাজারে কাপ-পিরিচ মার্কার সর্মথক মজিদ মহরীর ছেলে মো. রিয়াজকে মারধর করে আনারস মার্কার সমর্থকরা। দুপুরে মুরাদিয়ার কাবিলওলায় মাল্টা কাওসার তার ১০/১২ জন সহযোগী নিয়ে আনারস মার্কার সর্মথক চরগরবদী গ্রামের মৃত খোরশেদ হাওলাদারের ছেলে মো. ঝন্টু হাওলাদার ও আতাহার শরীফের ছেলে আবদুর রাজ্জাককে বেদম মারধর করেন।
মারধরের শিকার আনারসের কর্মী ঝন্টু হাওলাদার জানান, (শুক্রবার) দুপুরে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার সময় মাল্টা কাওসারের গাড়ী দেখে তার অটোচালককে থেমে সাইড দিতে বলে। এসময় মাল্টা কাওসার অশালীন ভাষায় গালাগালি করে তার কর্মীদের বলে একেকটাকে ধর, ধরে গলা কেটে জবাই কর, আমি তখন তাকে ডাক দিলে সে না দাড়িঁয়ে গাড়ী টেনে চলে যায়। আমিও বাড়ির দিকে হাটঁতে থাকি কিছুক্ষন পরে ১০/১২ জন লোক নিয়ে সে আমার কাছে আসলে টিপু নামের এক যুবক আমার গেঞ্জির কলার ধরে আর মাল্টা কাওসার নিজেই এই শুয়োরের বাচ্চা বলে গালি দিয়ে মারধর শুরু করে। এরপর তার লোকজন আমাকে যে যেভাবে পারে মারতে থাকে। এসময় আমার সাথে থাকা ৫০ হাজার টাকা তার (কাওসার এর) লোকজন নিয়ে যায়। মাটিতে ফেলে দিয়ে এলোপাথারি মারতে থাকলে আমার চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে ছেড়ে দেয়। কিন্তুু ঝন্টুকে বাচাঁতে এলে একই গ্রামের ষাটোর্দ্ধ আবদুর রাজ্জাককেও মারধর করে মাল্টা কাওসার ও তার লোকেরা। মারধরের শিকার ব্যক্তিরা জানান, দুমকী, লেবুখালী ও পাংগাশিয়ার সর্মথকরা মাল্টা কাওসারের সাথে ছিলো। এজন্য সবাইকে চিনতে পারেননি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে মাল্টা কাওসারের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা জরিমান করেন ম্যাজিস্ট্রেট। একইদিন রাত ১০ টায় আনারস মার্কার সমর্থক গঞ্জর হোসেন খানের ছেলে মো: ফারুক হোসেন খানকে মারধর করে গুরুতর আহত করে কাপ-পিরিচ মার্কার প্রার্থী কাওসার আমিন হাওলাদারের লোকজন। গুরুতর আহত ফারুক এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ বিষয়ে জানতে কাওসার আমিন হাওলাদারের মুঠে ফোনে বার বার ফোন দিলে ফোন রিছিভ না করায় তার বক্তব্য যানা যায় নি।
এ নিয়ে আনারস মার্কার প্রার্থী মেহেদী হাসান মিজান জানান, নির্বাচনী মাঠে টিকতে না পেরে পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিরোধী পক্ষ। তবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তিনি স্থানীয় থানাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন বলেও তিনি জানান। তিনি এক ফেসবুক লাইভে বিরোধীদের ফাদেঁ পা না দিয়ে সর্মথকদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রচার চালানোর জন্য কর্মী সমর্থকদের নির্দেশনা প্রদান করেন।