মনজু হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার:: পঞ্চগড়ে দুই প্রেমিকের দ্বন্দের জের ধরে পূরাতন প্রেমিক কে কৌশলে ডেকে নিয়ে রাতের আধাঁরে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পূরাতন প্রেমিক গুরুতর আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিক্যালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
আহত ওই প্রেমিক হচ্ছেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার রফিকুল ইসলামের ছেলে সুজন রহমান (২১)। আগামি ২৭ আগস্ট পঞ্চগড় টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ হতে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিবেন। কিন্ত কোমরের হাড় ভেঙ্গে যাওয়া এবং কিডনিতে মারাত্মক যখম হওয়ার তার পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়ন পরিষদের ভান্ডারুগ্রাম নতুন চাকলা এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান গত ২০ আগস্ট রাতে সিফাত নামে এক কিশোর সুজন রহমানের সাথে প্রেমিকার অভিনয় করে মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। এ সময় সিফাত তার সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে সুজনকে লাঠিপেটা করে ঘার ও পেটে আঘাত করেন।
সুজনের ভাই সোহাগ সাংবাদিকদের জানান আসলে আমার ভাই একবছর আগে ফুল নামের একজন কিশোরীর সাথে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ফুল অন্য একজনের সাথে মোবাইলে কথা বলার বিষয়টি সুজন জেনে যাওয়ার পর তার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করেন। সুজন রাজধানী ঢাকাতে ঔষধের দোকানে চাকরি করছিল। শুধু মাত্র এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য বাড়িতে আসেন। এর মাঝেই সিফাত ডেকে নিয়ে ছোট ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করেন। কান্নাজড়িত কন্ঠে সোহাগ বলেন আমার ছোটভাই সুজনের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া হবে না।
সুজনের চাচা শাহাজাহান সাংবাদিকদের জানান সিফাত কৌশলে মোবাইলে এসএমএস করে তার বাড়ির পাশে সুজন ডেকে নিয়ে পাঁচ থেকে ছয়জন মিলে হামলা চালিয়ে আহত করেন। খবর শুনে আমি সুজনকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমার ধারনা সিফাত পূরাতন প্রেমিক কে সহ্য করতে পারেনা বলেই সুজনের উপর হামলা চালিয়েছে।
এ ঘটনায় সুজন রহমানের বাবা রফিকুল ইসলাম গতকাল বাদী হয়ে নতুন প্রেমিক সিফাত সহ পাঁচজনকে আসামী করে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রাশিদুল আলম চৌধূরী জানান আসলে একটি মেয়ের সাথে প্রেমের ঘটনা । বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা জানান এই ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন । আসামীদের ধরতে অভিযান চলছে।
