জামালপুর প্রতিনিধি:: জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় দুই ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে বজলুর রহমান (৩০) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জনগণ। আহত ওই দুই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) ইফতার-পরবর্তী সময়ে সরিষাবাড়ী পৌরসভার সাতপোয়া গ্রামের রওদাতুল আতফাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর স্থানীয়রা তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মাদ্রাসা ঘেরাও করে অভিযুক্ত শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসার শিক্ষকের নাম মো. বজলুর রহমান (৩০) সে সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর ইউনিয়নের বজ্রাগ্রাম এলাকা মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও রওদাতুল আতফাল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার সাতপোয়া গ্রামের অবস্থিত রওদাতুল আতফাল মাদ্রাসায় শিক্ষক বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠে। বিষয়টি শনিবার জানাজানি হলে ওই এলাকার মানুষ অভিযুক্ত শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নির্যাতিত এ শিক্ষার্থীর মা জানান, তার ১০ বছর বয়সী ছেলেকে দুই মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছিল কিন্তু আজ সে বিষয়টি প্রকাশ করেছে।
অন্য এক ভুক্তভোগীর মা অভিযোগ করে বলেন, তার ৯ বছরের ছেলেকে মাদ্রাসার একজন শিক্ষক চার মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছে এবং তিনি এর বিচার চান।
এ প্রসঙ্গে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম কিন্তু হাজার হাজার এলাকাবাসী জড়ো হওয়ায় প্রথমে তা সম্ভব হয়নি। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি। হলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।