নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন দিনাজপুর পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে একই পদের প্রার্থী আশরাফুল আলম রমজান। এ সময় তাকে বাঁচাতে এসে মো. মুন্না (২২) নামে এক কর্মীও গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় দিনাজপুর শহরের কসবা এলাকার আলামিয়া মসজিদের পাশে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল আলম রমজান ওই ওয়ার্ডের টানা দ্বিতীয় বারের কাউন্সিলর। তিনি এবার তৃতীয় বারের মতো কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। তিনি আওয়ামী যুবলীগ দিনাজপুর শহর শাখার সভাপতির পদে রয়েছেন। এছাড়া আহত মুন্না একই এলাকার বাদল হোসেনের ছেলে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল আলম রমজানের বাম হাত ও বাম পা ভেঙে গেছে। এছাড়াও মাথা ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে। কর্মী মুন্নার মাথায় ১০টি সেলাই ও বাম হাতে ২টি সেলাই পড়েছে।
আশরাফুল আলম রমজান জানান, রাতে প্রচারণা শেষে এক কর্মীর বাসায় যাই। সেখান থেকে ফেরার সময় কসবা আলামিয়া মসজিদের পাশে ৬ জন সশস্ত্র ব্যক্তি হামলা করে। দুর্বৃত্তরা লোহার রড ও হাসুয়া দিয়ে আমার ওপর হামলা করে। এ সময় আমাকে রক্ষা করতে গেলে মুন্নাকে দুর্বৃত্তরা হাসুয়া দিয়ে কোপায়।
‘এ সময় আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা টুপি ও মাস্ক পরেছিল। পড়ে এলাকাবাসী আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি কসবা আলামিয়া গোরস্তান কমিটির নির্বাচনে আমি সভাপতি নির্বাচিত হই। এছাড়াও আমি টানা তৃতীয় বারের মতো কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছি। এতে প্রতিপক্ষরা আমার ওপর হামলা করতে পারে বলে আমি ধারণা করছি।
এদিকে দিনাজপুর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। হামলার খবর পেয়ে আমি রাত থেকেই তদন্ত শুরু করেছি। তারা অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।