ঢাকাবুধবার , ৩ মার্চ ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দিগন্ত জুড়ে তাকালেই শুধু আলু আর আলুতে ভরপুর মাঠ

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
মার্চ ৩, ২০২১ ৪:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দিপংকর রায় দিনাজপুর।। উত্তরের জেলা দিনাজপুরের বিরলে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছে সাদা সোনা আলু উত্তোলনে। কয়েক বছর ধরে আলুর বীজ উৎপাদনে নীরব ভূমিকায়।মানুষের খাদ্যাভ্যাসে আলু অদ্বিতীয় সবজি হিসেবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।

এই উপজেলার বেশ কিছু অঞ্চলে দিগন্ত জুড়ে শুধু আলুর ফসলের মাঠ দেখা যায়। এখন শুধু উত্তোলনের কর্ম ব্যস্ততা।
দিগন্ত জুড়ে আলু আর আলু এ যেন আলুর ভূস্বর্গ। বিরল উপজেলার ৯নংমঙ্গলপুর অন্তর্গত উত্তর বিষ্ণুপুর,চাপইড়,বালাপুকুর,রুদ্রপুর,মাহাতাব পুর,রঘুনাথপুর সহ প্বার্শবর্তী বেশ কিছু এলাকায় তাকালেই শুধু আলু আর আলুতে ভরপুর মাঠ।

বিভিন্ন কোম্পানি(ব্রাক,এসিআই,সুপ্রিম) আওতায় সার্টিফাইড আলুর বীজ উৎপাদন হচ্ছে এই অঞ্চলে।আলুর জাত কারিজ, ডায়মন্ড, ষ্টারিজ,গেনোলা ইত্যাদি।

কয়েকজন আলু চাষির সাথে কথা বললে তারা বলেন,আমরা সন্তুষ্ট মোটামুটি ফলন ভাল,দামও বেশ। আগে এই জমি গুলোতে বছরে এক ফসল শুধু ধান আবাদ করতাম। এখন আমরা তিন ফসল আবাদ করতে পারি। যেমন ধান, আলু, ভুট্টা।আলু বিক্রিতেও সমস্যা নেই। ফসল উঠলেই আমরা মাঠেই আলু বিক্রি করতে পারছি। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আলু কিনতে এখানে মানুষজন আসেন এবং এসেছেন। আবার যাদের সমন্বয়ে আলু চাষ করে থাকি তারা নির্ধারিত মুল্যেই তাদের কাছে আলু বিক্রি করি। তারা জানান অনেক অনেক চাষী আছেন যারা নিজেই ব্যাক্তিগত ভাবে আলু চাষ করছেন। তারাও একই সময়েই ফসল তোলেন।

ব্রাকের এক কর্মকর্তা জনাব নাহিদ আহমেদ জানান, শুধু মাত্র আমাদেরই এই উপজেলায় ব্লক ১০টি। প্রতি ব্লকে ৪৫/৫০ একর জমি। আমরা কৃষকদের সাথে সমন্বয় করে ভিত্তি বীজ সরবরাহের মাধ্যমে সার্টিফাইড বীজ উৎপাদন করে থাকি। কৃষকেরা শুধু মাঠ প্রস্তুতি করে পরে আমরা বীজ, কীটনাশক এবং তদারকি করে সহায়তা করে থাকি। আমরা কঠোর ভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করে বীজ উৎপাদন করে থাকি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বীজ বপন, রোগিং ও হারভেষ্টিং করা হয়।
গত ২৫শে ফেব্রুয়ারী থেকে আমাদের হারভেষ্টিং শুরু হয়েছে ১৫ই মার্চ পর্যন্ত চলবে।

বীজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা একরে প্রায় ১২ থেকে সাড়ে১২টন উৎপাদিত হয়ে থাকে। ৭ টন আমরা কৃষকের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে কিনে। অবশিষ্ট ৫ থেকে ৫.৫০ টন কৃষকেরা অন্যত্র বিক্রি করে থাকে এবং নিজেরা সংরক্ষণ করে।

এলাকা গুলোতে ঘুরে দেখা যায় যেন গ্রামীন মেলা বসেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে
লোকজন আলু কিনতে এসেছেন। বাজার গুলোতে বেশ লোক সোমাগম লক্ষ্য করা যায়। দোকানদাররা বেশ উচ্ছ্বসিত বেচা-কেনাও বেশ। সবার সাথে কথা বলে জানা যায় এই রমরমা অবস্থা খুবই অল্প সময়ের জন্য আলু তোলা শেষ রমরমা অবস্থাও শেষ।

আপনার মন্তব্য লিখুন