রোমান খন্দকার।। খাতুনগঞ্জের আড়ত পেঁয়াজে ভর্তি। কিন্তু ক্রেতার অভাবে বেচাকেনায় স্থবিরতা বিরাজ করছে। পাইকারিতে প্রতি কেজিতে ৮-১০ টাকা করে কমে গেছে। লোকসান নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রেতারা জানান, মজুত থাকা পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন।
শনিবার থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে আসতে শুরু করবে। ফলে বাজার কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করছে। এছাড়া টিসিবির ট্রাকের পিছনে এখন ক্রেতাদের কোনো ভিড় নেই। পণ্য নিয়ে ডিলাররা বসে আছেন।
গত দুই দিন ধরে পেঁয়াজের বাজারে অজানা শঙ্কা বিরাজ করছে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি করবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভর বাংলাদেশের বাজার পরিস্থিতি পালটে গেছে। যে সব ব্যবসায়ীর কাছে বাড়তি দামে কেনা মজুত রয়েছে তারা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।
গতকাল খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে দেখা গেছে, আড়তদার বিক্রেতারা মন খারাপ করে বসে রয়েছেন। বেচাকেনা নেই। আড়তে থাকা পেঁয়াজ নিয়ে কী করবেন তা নিয়ে চিন্তিত বিক্রেতারা। ক্রেতা না থাকায় লোকসানেও বিক্রি করতে পারছেন না।
বিক্রেতারা জানান, খুচরা ক্রেতারা পেঁয়াজ কিনছেন না। তারা দাম আরো পড়ে যাবে এই ভাবনায় এখন পেঁয়াজ কিনছেন না। পাইকারি বাজার তারা পর্যবেক্ষণ করছেন। হামিদুল্লাহ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ‘বাজারে ক্রেতা নেই। দাম কেজিতে ৮-১০ টাকা কমে গেলেও ক্রেতার দেখা মিলছে না। ব্যবসায়ীদের কাছে বাড়তি দামে কেনা প্রচুর পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। অধিকাংশ পেঁয়াজে পচন ধরেছে। আগামীকাল শনিবার ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকবে বলা হচ্ছে। ’
ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা কমিশনে বিক্রি করেন। এখানে সরাসরি কোনো আমদানিকারক নেই। ফলে ভারতীয় পেঁয়াজ নিয়ে পাইকারি বিক্রেতারা চিন্তা করছে না। কিন্তু বর্তমানে ব্যবসায়ীদের কাছে যে পেঁয়াজ মজুত রয়েছে তা আমদানিকারকদের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় করা।
চাক্তাই আড়ত ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আহসান খালেদ বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ কেজি ১৫ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মজুত ও পাইপলাইনে থাকা পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন। ভারতীয় পেঁয়াজ আগামী সোমবার খাতুনগঞ্জের বাজারে পৌঁছবে। এসব পেঁয়াজ কেজি ৪০-৪৫ টাকার কমে বিক্রি করতে পারবেন না।’
টিসিবি ট্রাকে চট্টগ্রামে ভোগ্যপণ্য বিক্রি করছে। গত ১২ ডিসেম্বর থেকে কেজি ২০ টাকা দরে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু গতকাল টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে ক্রেতাদের কোনো ভিড় ছিল না। ট্রাকে প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে।