যারা দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী আজ শুক্রবার সকালে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির পরিচিতি সভায় এ কথা জানান। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সভায় যুক্ত হন। এর আগে মহিলা উপকমিটির নেতারা ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
দলের শৃঙ্খলা ও নিয়ম-কানুন মেনে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে নবনিযুক্ত উপকমিটির নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদের বাদ দিতে হবে। ফ্রি স্টাইলে কোনো কিছুই করা যাবে না।’ একজন ব্যক্তি একাধিক কমিটিতে থাকতে পারবে না বলেও জানান তিনি। আগে যদি কোনো সহযোগী বা অন্য কোনো কমিটিতে নাম থাকে, তাহলে পদত্যাগ করে আসতে হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
৭৫ পরবর্তী সময়ে নারীবান্ধব সরকার শেখ হাসিনার সরকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নারী অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা কঠোর ভূমিকা নিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগে তাদের দরজা চিরকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন।’ ওবায়দুল কাদের দেশের উন্নয়নে সব নারীবান্ধব কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানান।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘যাঁরা দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এবং এখনো মাঠে আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান স্পষ্ট।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিদ্রোহীদের যাঁরা মদদ অথবা উসকানি দিচ্ছে, তাদেরও একই শাস্তি পেতে হবে।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিএনপির নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ না করলে এবং নির্বাচনি আমেজ সৃষ্টি করলেই আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকত বিএনপির।’ তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আরো বলেন, ‘তারা নামেমাত্র নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করতে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।’
এজেন্টদের বের করে দেওয়া নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যেখানে কেন্দ্রে তাদের এজেন্টই ছিল না, সেখানে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ অবান্তর ও ভিত্তিহীন।’ তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে নির্বাচন কমিশন নিয়ে মির্জা ফখরুলের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য শিষ্টাচার বহির্ভূত।
চসিক নির্বাচনে নির্বাচনি প্রচারের শুরু থেকে বিএনপির প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা মাঠে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন, তা বিএনপির আমলেও পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।