কোন নিয়ম অনুসরণ না করেই ফেনী সিভিল সার্জনের বাংলোয় বহু বছরের পুরনো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।চলতি মাসের প্রথম সাপ্তাহে কিছু গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। তবে গাছ কাটায় মানা হয়নি বনবিভাগের নিয়ম, কাঠ ও লাকড়ি বিক্রি হয়েছে দরপত্র ছাড়াই।
কর্তিত গাছগুলোর মধ্যে রয়েছে বহুবছরের পুরনো কাঁঠাল গাছ, আম গাছ, নারিকেল গাছ। মাঝারি আকারের পেয়ারা, জামরুল ও জাম গাছসহ তিনটি বড় কাঠ জাতীয় গাছ।
কাঠ গাছগুলো সীমানা প্রাচীর হতে বেশ কয়েক মিটার দুরত্বে থাকলেএ গাছ সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসেনদের দাবী, বাসভবনের সীমানা প্রাচীর সংস্কারে সমস্যাসহ শেকড়ের কারনে প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল তাই কেটে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুরনো গাছগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং অন্য গাছগুলো ছোট তাই দাপ্তরিকভাবে বিক্রয় করা হয়নি।
এদিকে গণপূর্ত বিভাগ সীমানা প্রাচীরের কাজ করলেও। তাদের দাবী সিভিল সার্জনের বাংলোয় প্রাচীর নির্মানের বিষয়টি তিনি জানেন তবে গাছ কেটে ফেলার বিষয়ে অবগত নন।
গাছ কাটার কাজটি করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আশ্রাফ ট্রেডার্স। প্রতিষ্ঠানটির মালিক নুরুল করিম মিলু জানান, বাংলোর ভিতরে সংস্কার কাজের লে আউটে গাছগুলো পড়ে যাওয়ায় তা সিভিল সার্জনের পরামর্শে কাটা হয়েছে। কেটে ফেলা গাছগুলো বিক্রি করা হয়নি, মজুরী হিসেবে দিয়ে দেয়া হয়েছে।
বনবিভাগ কতৃপক্ষের দাবী সরকারি ভূমিতে গাছ কাটতে বন বিভাগের নির্দিষ্ট আবেদন ফরম পূরণ অথবা আবেদন করলে একটি বিশেষজ্ঞ দল উক্ত স্থান পরিদর্শন করে। দলটি গাছের বিস্তারিত বিবরণ লিপিবদ্ধের পাশাপাশি আনুমানিক দাম নির্ধারণ করে। এরপর সংশ্লিষ্ট দপ্তর দরপত্র আহবান করলে সর্বোচ্চ মূল্যদাতা কার্যাদেশ পাবে। এরপর গাছ কাটা হবে এবং টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে বলে জানান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাকসুদ আলম।