লালমনিরহাট প্রতিনিধি: উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকেলের দিকে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার কিছুটা নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। এর ফলে নদী তীর এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাট হুমকির মুখে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে গোকুন্ডা ইউনিয়নের রতিপুর এলাকায় অর্ধ কিলোমিটার রেলপথ।
পানির তোড়ে ভেসে যায় রেললাইনের পাথর। ফলে দিনভর ঝুঁকি নিয়ে ধীরগতিতে ওই এলাকা দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। পরে রেল কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টায় ও পানি কমে যাওয়ায় সেখান দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে চলমান বন্যায় নদী এলাকার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙন ও ধ্বস রোধে স্থানীয়ভাবে বালু ভর্তি বস্তা ফেলা হয়েছে। অনেক পাকা সড়ক হাঁটু পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ফলে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে বানভাসী মানুষের।
রোববার সকাল ছয়টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানির সমতল ৫২ দশমিক ১৭ মিটার
(বিপদসীমা = ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) যা বিপদসীমার ০২ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়।
কাউনিয়া পয়েন্টে পানির সমতল ২৯ দশমিক ৬০ মিটার (বিপদসীমা = ২৯ দশমিক ৩১ মিটার) যা বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহ রেকর্ড করা হয় এছাড়াও ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি সমতল ৩০ দশমিক ২০ মিটার, (বিপদসীমা = ৩০ দশমিক ৮৭ মিটার) যা বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়।
পরে সকাল নয়টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার উপরে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। বিকেল তিনটায় ডালিয়া পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। সন্ধ্যা ছয়টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানির সমতল ৫১ দশমিক ৯৫ মিটার (বিপদসীমা = ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) যা বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নীচে প্রবাহিত হচ্ছে কাউনিয়া পয়েন্টে পানির সমতল ২৯ দশমিক ৬২ মিটার (বিপদসীমা = ২৯ দশমিক ৩১ মিটার) যা বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপরে।
এছাড়াও ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি সমতল ৩০ দশমিক ১৯ মিটার, (বিপদসীমা = ৩০ দশমিক ৮৭ মিটার) যা বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রেললাইনে পানি উঠেছিলো। পরে পানি নেমে গেছে। বর্তমানে রেল চলাচল বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।