বিশ্বের করপোরেট কোম্পানিগুলো একে একে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সমর্থকদের কাছ থেকে। জেপি মরগান, ম্যারিয়টসহ বিশ্বখ্যাত অনেক কোম্পানি নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে। ট্রাম্প এবং তার সমর্থকদের জন্য রাজনীতিতে অর্থায়নও বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। গত সপ্তাহে ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের অরাজকতার পরই একে একে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
ঘটনার পরপরই ফেসবুক আর টুইটার ট্র্রাস্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। ক্যাম্পেইন ওয়েবসাইটে অর্থায়নও বন্ধ করে দিয়েছে দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ২০২২ সাল নাগাদ ট্রাম্পের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে প্রোফেশনাল গলফার’র অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা (পিজিএ)। ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে কানাডিয়ান ই-কমার্স কোম্পানি শপিফাই। অনলাইনে ট্রাম্পের কাছে আর কোনো পণ্য বিক্রি করবে না এ কোম্পানি। ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে মোট অঙ্কের ঋণ দেওয়া ব্যাংক জার্মানির ডয়েচে ব্যাংকও ট্রাম্পকে ঋণ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ট্রাম্প এবং ট্রাম্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে ডয়েচে ব্যাংক।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক হোটেল ব্র্যান্ড ম্যারিয়ট বলছে, সব ধরনের রাজনৈতিক কাজে ট্রাম্পকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া থেকে বিরত থাকছেন তারা। মিশিগানভিত্তিক কেমিক্যাল কোম্পানি ডও ইনকর্পোরেটেড, আমেরিকান এক্সপ্রেস এবং আমাজনকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে, ট্রাম্প বা রিপাবলিকানদের কোনো কাজে অর্থায়ন করা হলে প্রতিষ্ঠানগুলোতে অর্থ সহায়তা বন্ধ করা হবে। এ বিষয়ে আমাজনের মুখপাত্র জানান, ট্রাম্প এবং তার সমর্থকদের সমর্থন করা বন্ধ করা হয়েছে।
হলমার্ক কার্ডস আর মাস্টারকার্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, বাইডেনের বিজয়কে যারা সমর্থন করেন না, তাদের সবাইকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করা হবে। কমার্স ব্যাংক জানায়, যারা ক্ষমতা হস্তান্তরের পথে বাধার সৃষ্টি করছে, তাদের কোনো অর্থায়ন করা হবে না জেপি মরগান, সিটি গ্রুপ, গোল্ডম্যান স্যাকস আর মরগান স্ট্যানলি কর্তৃপক্ষ জানায়, ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিক সব দলেই রাজনৈতিক অর্থায়ন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
মাইক্রোসফট আর অ্যালফাবেটও বন্ধ করেছে রাজনীতিতে অর্থায়ন।