চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:: প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে প্রথমে বিয়ে ও পরে স্ত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তিন মাস পর যৌনপল্লী থেকে পালিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন ওই নারী। তবে আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার। মামলা তুলে নিতে দফায় দফায় হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তারা। ভুক্তভোগী ওই নারী চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার বাসিন্দা।
ভুক্তোভাগী জানান, পার্শ্ববর্তী এলাকার যুবক রিংকুকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তিনি। এরপর ২ লাখ টাকার বিনিময়ে সেই রিংকুই তাকে বিক্রি করে দেন দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে। সেখানে ৩ মাস সইতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। ওই নারী বলেন, ব্লেড নিয়ে শরীর ক্ষতবিক্ষত করা, এমনটি সিগারেটের ছেঁকাও দেয়া হয়েছে তাকে।
এদিকে, মামলা করে উল্টো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। মামলা তুলে নিতে দেয়া হচ্ছে হুমকি। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিযুক্ত স্বামী, অথচ তাকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ভুক্তভোগী পরিবারটির অভিযোগ, বাড়ির পাশে কাফনের কাপড় রেখে নানা রকম হুমকি দেয়া হচ্ছে তাকে। সেই সাথে অভিযুক্ত স্বামী রিংকু ও তার বাবা-মাও একাধিকবার ধারালো অস্ত্র নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে ওই নারীর বাবাকে
এ নিয়ে ঝিনাইদহ পিবিআই এর পুলিশ সুপার মাহাবুবুর রহমান বলছে, তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা পেলে আসামিকে গ্রেফতরা করা হবে। তবে যে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে তার জন্য প্রশাসনের অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মী কানিজ সুলতানা।