শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। তবে সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটকেন্দগুলোতে বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে। প্রথম থেকেই নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ৯টি ওয়ার্ডের ২৮ হাজার ৬৩২ জন ভোটার ১৫ কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। তবে সব কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলছে প্রশাসন।
এখন পর্যন্ত পৌরসভার কেন্দ্রেগুলোতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে ভোটগ্রহণ।
তবে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন থাকলেও ভোটগ্রহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অদক্ষতার জন্য সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। একজনের ভোট নিতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করছে- বলে ভোটাররা অভিযোগ করেন।
এরমধ্যে একজন ভোটার নজরুল ইসলাম। তিনি শৈলকুপা শহরের কবিরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে এসেছিলেন। এক ঘণ্টার অধিক সময় দাঁড়িয়েও ভোট দিতে না পারায় বাড়িতে চলে যাচ্ছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, বাড়িতে গরু-ছাগল আছে। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে সময় পেল আবার আসবো।
কবিরপুর কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসারা মিজানুর রহমান জানান, আগে ট্রায়াল হওয়ায় এখন ইভিএমে ভোট দিতে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে ভোটগ্রহণের কাজে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এবারই নতুন হওয়ায় এটা হচ্ছে বলে যোগ করেন।
ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মুনতাাসিরুল ইসলাম জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) থেকেই শৈলকুপা পৌর এলাকায় ১৫ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণে দুই প্লাটুন বিজিবি, চারশ পুলিশ এবং ১৩৫ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।