ঝালকাঠি প্রতিনিধি:: ঝালকাঠিতে ১ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকায়। ঈদুল আজহার আগেও যা বিক্রি হয়েছিল ১৮০-২০০ টাকায়। ঝালকাঠিতে কাঁচামাল ব্যবসার সাথে জড়িত কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, সাধারণত কেজিতে ২৫০-৩০০টি কাঁচা মরিচ পাওয়া যায়।
কিন্ত সাইজ একটু বড় হলে ২৫০টির বেশি মরিচ হয় না। কেজিতে সর্বোচ্চ ৩০০ মরিচ ধরে হিসাব করলেও প্রতিটি মরিচের দাম পরে আড়াই টাকার বেশি। এ ছাড়া ঝালকাঠিতে শশা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৭০-২০০ টাকায় এবং টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়।
সরেজমিনে রোববার (০২ জুলাই) সকালে জেলা সদরের বারচালার বড় কাচা বাজার, চৌরাস্তা মোড়ের কাচা বাজার, নলছিটি পুরান বাজার, লঞ্চঘাট বাজার, রাজাপুর বাঘরী বাজার ও বাইপাস কাচা বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এসব বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকায়।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ১ কেজি কাঁচা মরিচ তাদের কিনতে হয় ৬০০-৬৫০ টাকায়। পরিবহন খরচ এবং অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ৭০০ টাকার নিচে বিক্রি করলে তাদের লাভ হয়না। পাইকারি বাজারে মরিচের দাম বেশি। তাই বেশি দামে কিনে তাদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
সদরের বারচালা কাচা বাজারে ব্যবসায়ী সাহেব আলী বলেন, আমরা বরিশাল থেকে কাচা মাল পাইকারি কিনে এনে বাজারে বিক্রি করি। মোকামেই কাঁচা মরিচের দাম ৬০০ টাকার বেশি। কাচা মালের সাথে মরিচ বেচতে হয় তাই অল্প কিছু এনে বিক্রি করি। দাম বেশি হওয়ায় কাচা মরিচের বিক্রিও কম।
রাজাপুর বাইপাস এলাকার কাচা মাল ব্যবসায়ী বাচ্চু হাওলাদার বলেন, ঈদের আগের দিন দুই কেজি মরিচ এনেছিলাম। যরা এক পোয়া নিত তারা পঞ্চাশ গ্রাম নিচ্ছে। গত দুই দিন আর মরিচ আনি নাই। দাম কমলে আবার বেচব।
বাইপাস কাচা বাজারে বাজার করতে আসা শফিকুল তালুকদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মূলত প্রশাসনের নজরদারির অভাব ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়েছে। যার ভুক্তভোগী আমরা সাধারণ জনগণ। ঈদের দু’দিন আগে শশা কিনলাম ৩০টাকায় সেই শশা ঈদের দিন বিকেলে ১২০টাকায় কিনতে হয়েছে।