লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থল বন্দর এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে পুড়িয়ে শহীদুন্নবী জুয়েলকে হত্যা করা হয়েছে। এতে কোরআন অবমাননার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন জেলা প্রশাসকের গঠিত তদন্ত কমিটি।
বুধবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।
এর আগে, শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) লালমনিরহাট অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টিএমএ মমিনকে প্রধান করে তিন কার্যদিবস সময় দিয়ে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কার্যে মোট ৫০ জনের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নিয়ে তদন্ত কমিটির সাতটি সভা করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। ছয়টি অধ্যায়ে ৪২টি অনুচ্ছেদে ৭৩ পাতা সংযুক্তিতে মোট ৬ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রস্তুত। ঘটনার ভূমিকা, বিবরণ, অধিক তথ্যানুসন্ধান, গভীর পর্যবেক্ষন, সুপারিশমালা ও মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনটিতে চারটি সুপারিশ স্থান পেয়েছে বলেও দাবি করেন তদন্ত কমিটির প্রধান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দেয়া হবে বলে জানান তদন্ত কমিটি।
গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার শহিদুন্নবী জুয়েল (৪৮) পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে। জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রিপাড়ার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।