প্রতিদিনের বাংলাদেশ:: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রথম নারী মেয়র হিসেবে জায়েদা খাতুন আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে তিনি এ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
মেয়র হিসেবে সবার সহযোগিতা কামনা করে জায়েদা খাতুন বলেন, আপনারা আমাকে লাখ লাখ ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। এজন্য আমি ও আমার পরিবার আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
চক্রান্তকারীরা বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করে দাবি করে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ষড়যন্ত্রকারী বিভিন্নভাবে শহর ও শহরের মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু শহরবাসী তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়নি। তারা লাখ লাখ ভোট দিয়ে আমার মা জায়েদা খাতুনকে বিজয়ী করেছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শফিউল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মেয়র ও জায়েদা খাতুনের বড় ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
প্রথম নারী মেয়র হিসেবে সোমবার দুপুরে ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে শহরের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে আসেন জায়েদা খাতুন। অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পরে নগর ভবনে মেয়র জায়েদা খাতুনকে ফুল দিয়ে বরণ করেন সিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি নগর ভবনে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
গত ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী জায়েদা খাতুন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। তার প্রাপ্ত ভোট ছিল দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪টি।
এর আগে ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন জায়েদা খাতুনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। তিন বছর পর ২০২১ সালে মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলম সাময়িক বরখাস্ত হন। পরে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পান নগরীর ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণ।
২০১৩ সালে প্রথম নির্বাচিত মেয়র প্রয়াত অধ্যাপক মান্নান বরখাস্ত হলে ২৭ মাস ১৩ দিন ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গত রোববার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শফিউল আজমের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। এ সময় সচিব আব্দুল হান্নান, কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।