ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৩ জানুয়ারি ২০২২
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গাজা খাওয়ার উপকার এবং অপকার কী কী?

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জানুয়ারি ১৩, ২০২২ ১১:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ গাজা সেবনে উপকার ও অপকার দুটোই আছে৷ আজ এই প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে দেখা গেল গবেষকেরা বলেছেন পরিমিত পরিমাণ গাঁজা সেবন করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

উপকারিতা—
নির্দিষ্ট পরিমাণে গাঁজা নিলে মৃগী জাতীয় স্নায়ু রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আই ইন্সটিটিউট জানায়, গ্লুকোমা চোখের এমন এক রোগ যাতে অন্ধত্ব আনে। কিন্তু গাঁজা গ্লুকোমা রোধে সাহায্য করে।

গাঁজা মস্তিস্ককে দ্রুত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া থেকে রক্ষা করে। এমনটাই জানিয়েছেন দ্য জার্নাল অব অ্যালঝাইমার ডিজিজ।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসার বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্যানসার অর্গ-এ জানানো হয় গাঁজা অনেক সময় টিউমারের ঝুঁকি কমিয়ে প্রতিরোধকের ভূমিকা পালন করে। গাঁজা কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমায়। এছাড়া কেমোথেরাপির অনেক ক্ষতি লাঘব করে। ইউএস এজেন্সি ফর ড্রাগ জানিয়েছে এই তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নটিংহাম জানায়, গাঁজা মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

অপকারিতা-
গাঁজা মানুষের স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দেয়। কারণ, গাঁজা মস্তিষ্কের কোষ নষ্ট করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। ২০ বছর গবেষণা চালিয়ে ফলাফলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।
গাঁজা সেবনের ফলে মানুষের শরীরের ধমনী ও শিরা অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিগারেটের মতো করে গাঁজা ধোঁয়া টানার ফলে মানুষের স্বাভাবিক রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়।আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন’-এর গবেষণায় দেখা গেছে এই বিষয় টি।

অতি বেশি গাঁজা সেবনের ফলে পুরুষের ও মহিলা দের প্রজনন ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক দল মার্কি
গাঁজা সেবনের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেবনকারী ব্যক্তির হৃত্‍কম্পন বেড়ে যায়। কোমনালীগুলি শিথিল হয়ে বেড়ে যায় এবং চোখের রক্ত প্রবাহের শিরাগুলি স্ফিত হয় যার কারণে চোখ লাল হয়।

দীর্ঘদিন গাঁজা সেবন করলে বিশেষ করে মাঝে মাঝে অতিমাত্রায় সেবন করলে সেবনকারীর মধ্যে ‘মস্তিষ্ক বিকার’ কিংবা মনোবিকাররগ্রস্ততা দেখা দেয়, যা উন্মত্ততার শামিল। ব্যক্তি ক্রমে কান্ডজ্ঞান হারিয়ে দৃষ্টি ও শ্রুতিগত হ্যালুসিনেশনে ভোগে।

তামাকের চেয়ে গাজা অধিক ক্ষতিকর কারণ গাঁজা সেবনের সময় সিগারেটের তুলনায় ফুসফুসে অন্তত তিন থেকে চারগুণ বেশি কার্বন-মনোঅক্সাইড ও অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থ জমা হয়। সিগারেটে যে পরিমান ক্ষতিকর পদার্থ থাকে তার চেয়ে চার পাঁচ থেকে দশ গুণ বেশি থাকে গাঁজায়। ফলে গাঁজা সেবীদের ফুসফুসে ও শ্বাসনালীতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

নিয়মিত এবং বেশি মাত্রায় গাঁজা জাতীয় দ্রব্য সেবনে গাঁজা সাইকোসিস নামে একধরনের লক্ষন হয়। এতে চোখে রক্তজমে চোখ লাল হয়ে যায়, ক্ষুধামন্দা, নির্জিবতা, শরীরের মাংস-পেশী শুকিয়ে যাওয়া, অত্যধিক দুর্বলতা, হাত-পা অনবরত কাপতে থাকা, পুরুষত্বহীনতা থেকে শুরু করে পুরোপুরি মানসিক রোগী হয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে।

যেহেতু গাজার উপকার থেকে অপকারই বেশি তাই কেউ জেনে শুনে নিজের ক্ষতি করবেন না,, অন্যকেও এই বিষয়ে নিরুৎসাহিত করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন