মোকছেদ আল মামুন::: নির্বাচনের বিধি-বিধান অনুযায়ী সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কুশলবিনিময়, পথসভা, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক আর নানারকম প্রতিশ্রুতি সহ গণ সংযোগ বন্ধ থাকলেও । রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা ও চায়ের দোকানে সাধারণ ভোটারদের মাঝে একটাই আলোচনা, কে হচ্ছেন সংসদ সদস্য। এ নিয়ে চুল চেরা বিশ্লেষণ করছেন তারা।
এ গাইবান্ধা- ১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী হয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরোজা বারী। কিন্ত দলীয় সিদ্ধান্তই জাতীয় পার্টি কে ২৬ টি আসনের সমঝোতার কবলে এ আসনটিও পরায় নৌকা প্রত্যাহার করে নেয়ায় ভালো একটা যায়গা করে নেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি । তার মুল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন ঢেঁকি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ হেল নাহিদ নিগার (সাগর), মশাল প্রতিকে আহসান হাবিব মাসুদ, আম,ডাব, ট্রাক সহ লাঙ্গলের প্রতিদ্বন্দ্বী মোট নয় (০৯) জন। প্রচারণার দিক থেকে প্রচার প্রচারণার শুরুতে মশাল ভালো ভাবে জলে উঠলেও বর্তমানে একটু নিভো নিভো ভাব হওয়ায় জনগনের মাঠ দখলে নিয়েছে ঢেঁকি প্রতিকের আলোচিত ইঞ্জঃ নাহিদ নিগার(সাগর)।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ নিগার (সাগর) ইতিমধ্যে জনগনের ভালো সারা পাওয়া ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকার ফলে জাতীয় পার্টির (লাগল) প্রতিকের প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারির নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া কষ্টকর হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় অনেকেই।
আসনটিতে জাতীয় পার্টির মনোনীত এই প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ নিগার এর মাঝে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা করছেন তারা। এ আসনে নাহিদ নিগারের মামা সাবেক সংসদ সদস্য ও মা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি হওয়ায় নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে বলে জানান তার সমর্থকরা। আওয়ামীলিগ ও জাতীয় পার্টি সমঝোতা আসন এবং হেভিওয়েট দুই প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত।
নাহিদ নিগার গণমাধ্যম কে জানায় তার পক্ষে মাঠে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ একাধিক নেতাকর্মী। তবে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে উপজেলা আওয়ামী লীগের মুল দল ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের অধিকাংশ দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্র এই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। এতে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী রয়েছেন অনেকটা বেকায়দায় মনে করছেন লাঙ্গলের প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ জনগণ ।
