গাইবান্ধা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ শ্রম আইন এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী শিশুদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ থাকলেও গাইবান্ধার ফুলছড়িতে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের। অর্থের প্রলোভন দিয়ে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পোস্টার। যার লোভে পড়ে শিশুরা তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে আঠা দিয়ে দঁড়িতে লাগানো পোস্টার টানাতে ঝুঁকি নিয়ে উঠছেন বিভিন্ন গাছে।
শনিবার (৪ মে) এমন কয়েকটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ফেসবুকে প্রকাশ পাওয়া ছবিগুলো ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জি এম সেলিম পারভেজের।
প্রকাশ পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে একটি ছবিতে দেখা যায় ঘোড়া প্রতীকের পোস্টার টানানোর জন্য গাছে উঠছে এক কিশোর। আর তাকে নিচে থেকে সহযোগীতা করছে আরেক শিশু।
এছাড়া অপর একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবকের সাথে তিন শিশু আঠাযুক্ত পোস্টার লাগাচ্ছে দঁড়িতে। যা টানানো হবে ওই এলাকার বিভিন্ন গাছে গাছে।
ফেসবুকে পোস্ট করা ওই সব ছবিগুলো আজ শনিবার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মদনেরপাড়া এলাকা থেকে তোলা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া তিনজনেই স্কুল শিক্ষার্থী এবং পোস্টার টানাতে তাদেরকে টাকা দিতে চেয়েছে বলে জানা গেছে।
অর্থের বিনিময়ে পোস্টার টানাতে শিশুদের ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চেয়ে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সেলিম পারভেজের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে এ ব্যাপারে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান মোবাইল ফোনে বলেন, শিশুদের ব্যবহার কই? শিশুদের ব্যবহার হবে কেন? পোস্টারতো যে কেউ লাগাতে পারে। তারপরেতো ছোট শিশু না। যেহেতু গাছে উঠে নটকাবে (টানাবে) বয়স্ক ছাড়া কি আর লাগানো যাবে? ছোট বাচ্চা দিয়ে কি আর লাগান যাবে?
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এ সব ছবির বিষয় তুলে ধরে প্রশ্ন করা হলে উত্তর না দিয়ে তিনি এড়িয়ে যান। পরে তিনি বলেন, আমি দেখতেছি, বিষয়টি আপনাকে পড়ে জানাবো। আমি দেখতেছি বলতে বলতেই ফোন কেটে দেন তিনি।
আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে দেশের ১৫০ উপজেলার সাথে গাইবান্ধার ফুলছড়িতেও অনুষ্ঠিত হবে ভোট।