প্রতিদিনের বাংলাদেশ
গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েরা করোনার টিকা নিতে পারবেন বলে সুপারিশ করেছেন জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটি। সোমবার (২ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ৷
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গর্ভবতী মায়েরা গর্ভধারণের যেকোনো সময় কোভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকা নিতে পারেন, সে বিষয়ে আমরা সুপারিশ করেছি। তবে এ বিষয়ে টিকার ব্যাপারে যে জাতীয় কমিটি আছে, তারা সিদ্ধান্ত দেবেন। আমিও যতদূর জেনেছি, দু্ইদিন আগের সভায় তারাও এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।
আজ সোমবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করোনা টিকা প্রয়োগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের টিকা প্রদান করা যাবে কি না, এ বিষয়ে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা ও নীতিমালা করতে বলেছেন আদালত। অ্যাটর্নি জেনারেলকে আদালতের এই আদেশের বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানাতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে, ৩১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের চারজন আইনজীবী অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট দায়ের করেন। চার আইনজীবী হলেন- ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার, অ্যাডভোকেট রাশিদা চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মোজাম্মেল হক। রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং আইইডিসিআরের পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।