স্টাফ রিপোর্টার: বরিশালের গৌরনদীতে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পরকীয়া প্রেমিক মো. মাইনুল ইসলাম পলাশ ফকির (২৬) ও প্রেমিকা সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ঝুমুর খানমকে (২৫) হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার নলচিড়ার ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে এক সৌদি প্রবাসীর বসতঘর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃত পলাশ ফকির গৌরনদী উপজেলার বদরপুর মুসুল্লিবাড়ী জামে মসজিদের ইমাম এবং উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম শোলক গ্রামের শাহ আলম ফকিরের ছেলে।
এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আল আমিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ঘটনাটি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি বর্তমানে শিবিরের কর্মী নন। তিনি আগে শিবিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন হয়তো। উপজেলা শিবিরের নেতা বিষয়টি সত্য নয়। এছাড়া তিনি একজন মসজিদের ইমাম এবং তার বাড়ি আমাদের পাশের উপজেলায়। তিনি গৌরনদী উপজেলার কোনো নেতা নন বলেও জানান জামায়াতের এই নেতা।
ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বদরপুর গ্রামে ইউপি সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ঘটনাটি ঘটেছে তবে ওই ইমাম সাহেব শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত কি না আমি নিশ্চিত নই।
নলচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ মৃধা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন মসজিদের ইমাম—এ তথ্য তিনি শুনেছি। তবে তিনি শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নই আমরা। তার বাড়ি পাশের উপজেলায় এবং এখানে আসার সময়ও বেশি হয়নি বলেও জানান চেয়ারম্যান।
মামলার বাদী গৌরনদী থানার এসআই জুলেল হাওলাদার জানান, গভীর রাতে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকা পলাশ ও ঝুমুর খানমকে আটক করা হয়। তবে স্থানীয় কেউ বাদী না হওয়ায় আমি বাদী হয়ে অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ করে জনমনে বিরক্তি সৃষ্টি করায় পেনাল কোড ২৯০ ধারায় অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় মামলা করা হয়।
এ বিষয় গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. ইউনূস মিয়া বলেন, পরকীয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার মসজিদের ইমাম মাইনুল ইসলাম পলাশ ফকির ও ঝুমুর খানমকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।