স্টাফ রিপোর্টার:: চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। এসব পরীক্ষায় এবার মোট পরীক্ষার্থী ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। গতবছরের তুলনায় এবার প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী কম। এমনকি গত তিন বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কম।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। ২০২৩ সালে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন এবং ২০২২ সালে ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ এবং ২০২১ সালে ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
এবার সারা দেশে ৩ হাজার ৭১৫টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষা। এবার মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন এবং ছাত্র ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ জন। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ইতোমধ্যে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা আয়োজন করতে নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। প্রশ্নপত্র ফাঁস, গুজব, নকল বা অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি নিয়েছে কমিটি।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের রুটিন অনুযায়ী, এবার পরীক্ষা চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। এবারও বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হবে বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের ও সহজ বাংলা দ্বিতীয় পত্র দিয়ে। নির্দিষ্ট দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) জানানো হয়েছে পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার হলে আসন গ্রহণ করে এবং মুঠোফোনসহ যেকোনো প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা নকল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে না আসে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে প্রশ্নপত্র পাওয়ার চেষ্টা না করে, সে বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সব নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস–সম্পর্কিত গুজব বা ঘটনা, নকল বা অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন ১৯৮০, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ এক হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। ২২৯১টি কেন্দ্রে ১৮ হাজার ৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন ছাত্রী। এই বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি। প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩টি।
অপরদিকে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন।