সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় গত ৮ নভেম্বর খুলনা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ৯ নভেম্বর থেকে জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থা গ্রহণ করে। মোবাইলকোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন এপিবিএন ও পুলিশের সদস্যগণ। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
শীতের তীব্রতা কিছুটা বেড়ে চলেছে সেই সাথে বাড়ছে করোনা সংক্রামণ ও মৃত্যুহার। করোনা ভাইরাসের প্রর্দুভাব ও সহিংসতা কিছুটা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে স্বস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধানে বিশেষ জোর তাগিদ দেয়া হচ্ছে তারই ধারা বাহিকতায়। খুলনায় মাস্ক না পরায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ৪০ মামলায় ২৬ হাজার ৯শ’ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার ( ১ ডিসেম্বর) খুলনা মহানগরীসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাব্য দ্বিতীয় ওয়েভ মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এদিকে নগরীতে তামাক বিরোধী অভিযানে তামাকের বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের দায়ে ৪ মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নির্দেশে নগরীর জলিল টাওয়ার, ডাক বাংলা, করিম নগর, সোনাডাঙ্গা এবং বয়রা বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালিত হয়। মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইসমাইল হোসেন, মোঃ রাকিবুল হাসান, দেবাশীষ বসাক এবং তাহমিনা সুলতানা নীলা। এছাড়া উপজেলাসমূহে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি)-গণ নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে মাস্ক সাথে না থাকায় এবং যথাযথভাবে মাস্ক পরিধান না করায় ৪০টি মামলায় ৪১ জনকে মোট ২৬ হাজার ৯শ’ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান মোতাবেক এসব জরিমানা করা হয়।
এদিকে নগরীতে তামাক বিরোধী অভিযানে তামাকের বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের দায়ে ‘ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’ এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান মোতাবেক ৪ টি মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।