খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে ছোট ভাইয়ের কোদালের কোপে বড় ভাই নিহতের ঘটনায় চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আসামী রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা থেকে ছোট ভাই রবিউল কে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা পুলিশ লালমনিরহাটের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে,গত সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে জমিতে সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে দুভায়ের মাঝে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ছোট ভাই রবিউল তার বড় ভাই মিজানুরের মাথায় কোদাল দিয়ে কোপ দেয়। এতে,রক্তাক্ত হয়ে গুরুতর আহত হয় বড় ভাই মিজানুর রহমান।পরে, স্থানীয়রা মিজানুরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
পরে,রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মারা যায় মিজানুর ।
নিহত মিজানুর উপজেলার বসিনটারী এলাকার খাইরুল আমিনের বড় ছেলে বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন আসামী ছোটভাই রবিউল ইসলাম।
পরে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর রবিউল আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য,জমিজমা ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বড় ভাই মিজানুরের সাথে ছোট ভাই রবিউলের বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল দশটার দিকে ফসলি ক্ষেতে সেচের পানি দেওয়ার জন্য নালা তৈরিকে কেন্দ্র করে
ঐ সময়ে দুভায়ের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ছোট ভাই রবিউল বড় ভাই মিজানুরের মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করে।
এতে মিজানুর গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওইদিনই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সে মারা যায়।