আইনুল হক পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রেজিয়া খাতুন (৪৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।
নিহত রেজিয়া খাতুন জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের মৃত এনামুল হকের স্ত্রী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,একই উপজেলার মালগাঁও গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪৫) ও কানাড়ী গ্রামের মৃত ধনীনুল্লার ছেলে এনতাজুল (৪৪)।
পুলিশ সুপার জানান,ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পীরগঞ্জ থানা এবং জেলা গোয়েন্দা শাখা, ঠাকুরগাঁও এর সমন্বয়ে বিশেষ টিম ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে নিবিড়ভাবে কাজ শুরু করে।
একপর্যায়ে স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ, ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ এবং বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত অপরাধ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দল একই দিনে হত্যার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরো জানান, পরে তদন্ত করে দেখা গেছে, এটি একটি হত্যাকান্ড। রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ।
সাত ঘন্টার মধ্যে এঘটনার সাথে জড়িত দুই জনকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ডিসিস্ট রেজিয়া খাতুন (৪৮)’কে তারা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কু-প্রস্তাব দেয়।
উক্ত কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে তারা রেজিয়ার মুখ চেপে ধরে ও গলায় ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। বিশদ তদন্ত অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য যে, গতকাল সোমবার (২৭ মে) সকালে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ৯ নং সেনগাঁও ইউনিয়নের কানাড়ী গ্রামে জাহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির আম বাগান থেকে রেজিয়া খাতুনের লাশ দেখতে পায় প্রতিবেশীরা।
পরবর্তিতে পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় মৃত রেজিয়া খাতুন (৪৮) এর ছেলে জুলফিকার আলী রুবেল (২৮) বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।