কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী ও ভুরঙ্গামারী উপজেলার সংসদ সদস্য মোঃ আছলাম হোসেন সওদাগর স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়িত "অতিদরিদ্রদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প "ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ফর দ্যা পুওরেষ্ট(আইএসপিপি)-যত্ন, জাতির পিতার সোনার বাংলা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তার নির্বাচনী এলাকার পাশাপাশি পুরো জেলায় ২০৪১ সাল পর্যন্ত চলমান রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।
(২৪ নভেম্বর) নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নে যত্ন প্রকল্পের উপকারভোগীদের নগদ অর্থ বিতরনের অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসাবে তিনি এ দাবি জানান।
এসময় উপস্থিত জনসাধারনকে বলেন"সন্তান আপনাদের কিন্তু দায়িত্ব নিয়েছে সরকার প্রধানমন্ত্রী যিনি আমাদের সবার মা।আপনাদের বাচ্ছারা যাতে পুষ্টিকর খাবার খায়,সুস্থ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে ওঠে সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের মা" নাগেশ্বরী ও ভুরঙ্গামারীতে" ২৮,২৫৬ জন উপকারভোগী মা, সম্পুর্ন ডিজিটাল পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে প্রতি তিনমাস পর পর প্রায় ১২ কোটি করে টাকা সহায়তা করছে, যা দারিদ্র্য নির্মুলে ব্যাপক ভুমিকা পালন করছে,কেদার ইউনিয়নের উদাহরন দিয়ে তিনি বলেন"আজ এই ইউনিয়নে ১৩৮০ জন উপকারভোগী ৬১,৭৬,১০০ টাকা পাবে আর এই ভাবে যদি প্রতি তিন মাস পর পর টাকা পায় তা হলে এলাকায় কি অভাব থাকবে? তখন হাজার হাজার মা হাত উপরে তুলে বলে "না "।
এসময় এমপি বলেন"আমাদের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে আরো ত্বরান্বিত করতে হবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আগামীতে যে কোন নির্বাচনে যাকেই নৌকা মার্কা দিক না কেন তাকেই বিজয়ী করতে হবে।
এমন একটি প্রকল্প তার নির্বাচনী এলাকায় দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে উন্নত সোনার বাংলা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত প্রকল্পটি চলমান রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান।
কেদার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কেদার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ফজলুল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,রংপুর ডাক বিভাগের ডেপুটি পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল প্রদীপ কুমার,যত্ন প্রকল্পের উপজেলা সেফটিনেট অফিসার মোঃ খোদাজাত মিজান সহ স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।