মুহাম্মদ রাসেল উদ্দিন, কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য বিভাগের অধীনে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক দুটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫কোটি টাকা ব্যয়ে বরোপিট, অব্যবহৃত জলাশয় সংস্কার ও বিল নার্সারী পুকুর খনন কার্যক্রমের মাধ্যমে ৩৮.৩হেক্টর জলাশয়ের উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
ফলাফল স্বরূপ উক্ত জলাশয়ে অতিরিক্ত ১২০মে.টন মাছ উৎপাদিত হবে যার মূল্য প্রায় ২কোটি টাকা। উক্ত জলাশয়সমূহ সংস্কারের ফলে ১হাজার ৬শত জন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সুবিধাভোগ করবে। জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ৩৮টি জলাশয়ের প্রায় ৩৪.০হেক্টর পুনঃখনন কাজ সফলভাবে সম্পন্নের পথে।
এছাড়াও নাগেশ্বরী উপজেলায় প্রায় ৮৪লক্ষ টাকা ব্যয়ে মোট ৬হেক্টর আয়তনের ৬টি বিল নার্সারী পুকুর খনন করা হয়েছে। বিল নার্সারী পুকুরে উৎপাদিত পোনা বিল সমূহের জন্য পোনার জোগান দিবে ফলে পোনামাছ ক্রয়ের ব্যয় কমে গিয়ে বিলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সুফলভোগিদের আয় বাড়বে। পাশাপাশি সংস্কারকৃত বরোপিট সুফলভোগীদের মাঝে ইজারা দেওয়া হলে তা মাছ উৎপাদনে নতুন ক্ষেত্র তৈরী-কর্মসংস্থান সৃস্টিতে ব্যাপক ভুমিকা পালন করবে।
পায়রাড়াঙ্গা বিলের সভাপতি আমজাদ হোসেন ও মাদাইখাল বিলের সভাপতি দীনেশ চন্দ্র দাস বলেন, বিলে নার্সারি পুকুর পুনঃখনন হওয়ায় আমরা মাছ চাষে অর্থিকভাবে লাভবান হবো। কারণ প্রতিবছর বিভিন্ন হ্যাঁচারী থেকে প্রায় ২০লাখ টাকার পোনা ক্রয় করে বিলে মাছ চাষ করতে হয়। কিন্তু নার্সারি পুকুরে ২-৩লাখ টাকা ব্যয়ে রেণু হতে পোনা প্রতিপালন করে লালিত পোনা বিলে ছাড়া হলে আমরা অর্থিকভাবে দ্বিগুণ লাভবান হবো। মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারবো।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, পায়রাড়াঙ্গা ও মাদাইখাল বিলের মাছ দিয়ে আমরা আমাদের স্থানীয় মাছের চাহিদা মেটানোসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ী মাছ ক্রয় করেন। নার্সারী পুকুর পুনঃখনন করায় আমরা আনন্দিত। এখন থেকে আমরা আরো প্রাকৃতিক স্বাদের মাছ খেতে পারবো।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় বলেন, জেলায় চলমান সকল কার্যক্রম জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দের সার্বিক সহায়তা নিয়ে প্রকল্পের ড্রয়িং ও ডিজাইন অনুযায়ী কাজ শেষ পর্যায়ে। আশা করছি এ বছরেই সংস্কারকৃত জলাশয়সমূহ মাছ উৎপাদনে ব্যবহৃত হবে।