আনিসুর রহমান,স্টাফ রিপোর্টার।। নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর শাফি নামে তিন বছরের শিশুকে পাওয়া গেল বস্তাবন্দি মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ঝগড়ারচর গ্রামে।নিহত শাফি ওই গ্রামের জাহেদুল ইসলামের ছেলে।
বাবা-মায়ের চোখের মণি, সদা হাস্যউজ্জল শাফি।সারাদিন ছুটোছুটি আর ভাঙা-ভাঙা শব্দে মধুর সব কথায় বাড়ির সবাইকে মাতিয়ে রাখতো সবসময়। তার প্রাণবন্ত বিচরণ বাবা-মা ও অন্যদের আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দিতো। কিন্তু শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে হঠাৎই শাফিকে খুঁজে পাওয়া যচ্ছিল না। শাফির বাড়ির সঙ্গে পাড়াজুড়েই যেন নেমে এলো অমানিষার অন্ধকার। ছোট্ট এই শিশুটির জন্য তার স্কুলশিক্ষক বাবা আর মাসহ বাড়ির সবাই দিগ্বিদিক ছুটে বেড়াতে লাগলেন। পাঁচ ঘণ্টার খোঁজাখুঁজি শেষে শাফিকে পাওয়া গেল পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে। তবে প্রাণবন্ত সেই শাফি তখন প্রাণহীন। বস্তাবন্দি অবস্থায় শাফিকে যখন তার স্বজন ও এলাকাবাসী খুঁজে পেলেন। নিষ্ঠুর ঘাতক শিশুটিকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে ফেলে রেখে গেছে। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শিশুটি নিখোঁজের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর তাদের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির মরদেহ খুঁজে পান তার স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
‘শিশুটির গলায় সামান্য দাগ রয়েছে। তার ঠোঁট দুটো অনেকটা কালচে হয়ে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, কেউ তাকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে মরদেহ ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে ফেলে রেখে গেছে।’ বলেন ওসি।
ওসি আরও জানান, শিশুটিকে কে বা কারা এভাবে হত্যা করেছে তা এখনও (শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত) নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার পরিবার কাউকে সন্দেহ করছে কিনা, তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রামের মর্গে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।