আনিসুর রহমান,ষ্টাফ রিপোর্টার-কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমরপন্থাবাড়ী (সাতভিটা) গ্রামের সোলায়মন আলীর ছেলে মন্তাজুল আলমের কোপের আঘাতে মায়ের মৃত্যু হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার রাজারহাট উপজেলার উমরপান্থাবাড়ি (সাতভিটা) গ্রামের সোলায়মান আলীর ছেলে মন্তাজুল আলমের (৩৬) বিবাহিত স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। এতে তিনি কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তিনি দ্বিতীয় বিয়ের দাবিতে প্রায়ই পারিবারিক কলহ সৃষ্টি করতে থাকেন।
২০২০ সালের ২০ মার্চ দুপুরে মন্তাজুল দ্বিতীয় বিয়ের দাবিতে তার মা মেহেরজান বেগম মিনুকে (৫৮) চাপ দিতে থাকেন। এসময় তার মা এতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি বাড়িতে থাকা কুড়াল নিয়ে মাকে কুপিয়ে জখম করেন।
এ সময় মা মেহেরজানের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে পালিয়ে যান মন্তাজুল। পরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মেহেরজান বেগমের। পরে স্থানীয়রা অভিযুক্ত মন্তাজুলকে আটক করে পুলিশে দেয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও অভিযুক্তের বাবা সোলায়মান আলী বাদী হয়ে ছেলে মন্তাজুলকে আসামি করে রাজারহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
(১২জানুয়ারী)মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ,আব্দুল মান্নান, দ্বিতীয় বিয়ের ব্যবস্থা না করায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ছেলেকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্রাহাম লিংকন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ প্রতিবেদন (চার্জশিট) ও মামলার শুনানিতে মন্তাজুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।