কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া মহাবিদ্যালয়ে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িত থাকার অপরাধে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিচুর রহমান আনিচ। আজ শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা যুবলীগদের দপ্তর সম্পাদক মনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান আনিচকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হাসান রিন্টু বলেন, যুবলীগ কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেনা। ব্যাপারটি ক্ষতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া অপর দুজন হলেন- সবুজ হোসেন (২০) ও হৃদয় আহমেদ (২০)।
আজ শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত। এর আগে শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার তানভির বলেন, বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে কুমারখালী উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয়ে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকা তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের সঙ্গে বাকিরা যারা রয়েছে, তাদেরও খুব শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে এবং আদালতে সোপর্দ করা হবে।