ঢাকাসোমবার , ১৭ মার্চ ২০২৫
  1. অপরাধ ও আদালত
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইসলাম ডেস্ক
  5. কৃষি ও অর্থনীতি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্য-প্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. নির্বাচন
  11. বানিজ্য
  12. বিনোদন
  13. ভিডিও গ্যালারী
  14. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
  15. রাজনীতি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুড়িগ্রামে ত্রাণের চালের তালিকা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
মার্চ ১৭, ২০২৫ ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার:: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ১০ কেজি ত্রাণের চাউলের তালিকা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আটজন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৬ মার্চ ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন— উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, বড়ভিটা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান, খয়বর রহমানের ছেলে মুসা,জয়মত আলীর ছেলে শাহারুল,আবু বক্করের ছেলে মোকছেদুল হক, চন্দ্রখানা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে বাবু, আবদুল জলিল,জিয়াউর রহমান।

চট্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, যুবদল কর্মী নিহত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজির হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলামের নেতৃত্ব কয়েকজন নেতাকর্মী বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে মেম্বারদের খাঝ থেকে ১০কেজি চালের তালিকায় ভাগ চায়। চালের তালিকা দাবি করায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল গ্রুপের নেতাকর্মীরা তীব্র নিন্দা জানান এবং নজির হোসনের ছেলে আরিফুর ইসলামের সমালোচনা করেন। সমালোচনার এ বিষয়টি বড়ভিটা বাজারে ব্যাপক আলোচনার জন্ম নেয়।পরে বিষয়টি নজির হোসনের ছেলে জানতে পারে এবং সন্ধ্যায় বড়ভিটা বাজারে এসে বিএনপির এক কর্মীকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মান্নান গ্রুপের নেতাকর্মী ও নজির গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হন।

আরিফুল ইসলাম আরিফ নামের এক বিএনপির কর্মী বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাদল সরদারের নেতৃত্বে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহসভাপতি মাহাবুব মিয়া ভাইয়ের পিতাসহ কিছু মিডিয়াকর্মীদের বের করে দেওয়া হয়। পরে তারা ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আমি বিষয়টি শোনার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে বাজারে এসে ইফতার করি। এ সময় বিপক্ষ লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মান্নান মুকুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এতে করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন সংঘর্ষের ঘটনা দলের প্রতি মানুষের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ফুলবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ বলেন, চালের তালিকা নিয়ে বিএনপির দু পক্ষের খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে আমি ফোর্সসহ উপস্থিত থেকে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেই। কোনো মারামারি ঘটনা ঘটেনি। তবে ইফতারের আগে মারামারি হয়ে আহত হয়েছে কিনা জানা নেই , এখনো এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি।