আনিসুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার: কুড়িগ্রামের রাজারহাটে নবম শ্রেনির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ১৮দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকাবাসী।
ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, গত ১মার্চ উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশাম গ্রামের দুলু মিয়ার কন্যা ও ৯ম শ্রেণীর স্কুল শিক্ষার্থীকে তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী স্থান থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লালমনিরহাট সদরের গোকুন্ডা এলাকার ফজলুল হক এবং সেলিম মিয়া নামের দুই যুবক জোড় পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মেয়েটিকে ফজলুর বাড়িতে আটক রেখে ১৮ দিন ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফজলুল হক এবং সেলিম মিয়া। ধর্ষিতা অভিযোগ করেন,ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে ধর্ষকদ্বয় তাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।
এদিকে বুধবার রাতে ধর্ষিতা স্কুল শিক্ষার্থী কৌশলে ফজলুর বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের সরিষাবাড়ি বাজারের সন্নিকটে বাছের উদ্দিনের বাড়িতে অশ্রেয় গ্রহণ করে। বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে আসেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ তসলিম উদ্দিন বলেন,কোন অভিযোগ পাইনি, তবে লোকমুখে বিষয়টি শোনার পর সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি।