স্টাফ রিপোর্টার:: সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও তা ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর টানা ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এরমধ্যে ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলার জিনজিরা, কেরানীগঞ্জ এবং গাজীপুরের টঙ্গীতে সমাবেশ করে দলটি। আজ (২১ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জের ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেটে রোডমার্চ কর্মসূচি রয়েছে।
এ ছাড়া আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকার যাত্রাবাড়ী এবং উত্তরে সমাবেশ রয়েছে। বাদ জুমা খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সারাদেশের মহানগর, জেলা, উপজেলা এবং পৌরসভায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
২৩ সেপ্টেম্বর বৃহত্তর বরিশাল-পটুয়াখালীতে রোডমার্চ, ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবিতে দেশের সব জেলা এবং মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ, ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরের নয়াবাজারে সমাবেশ, ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগের রোডমার্চ, ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জনসমাবেশ, ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাকায় মহিলা সমাবেশ, ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমজীবী কনভেনশন, ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ জেলায় রোডমার্চ, ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক সমাবেশ, ৩ অক্টোবর ফরিদপুর বিভাগে রোডমার্চ এবং সমাবেশ।
নতুন করে দুদিন বাড়ানো কর্মসূচি হলো ৪ অক্টোবর ঢাকায় পেশাজীবী কনভেনশন এবং ৫ অক্টোবর কুমিল্লা, ফেনী, মিরসরাই ও চট্টগ্রামে রোডমার্চ।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী প্রয়োজনে আরও কিছু কর্মসূচি যোগ হতে পারে।
তিনি বলেন, এতো প্রহসন ও গ্রেপ্তার, মামলা এবং বাধার মুখেও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। আমরা এর শেষপর্যন্ত যাব। তবে শেষ পরিণতি নির্ভর করছে সরকারের ওপর।