নিহাল খান,রাজশাহী প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেছেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলে আমার প্রথম কাজ হবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।রাজশাহীতে অনেক বেকার তরুণ-তরুণী আছে,তাদেরকে নিয়েই আমি যুদ্ধ করবো।কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলেই মাদকমুক্ত হবে রাজশাহী।তাই যুব সমাজকেই আমি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবো।অতএব বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাই হবে আমার প্রথম লক্ষ্য।
গতকাল ২৫ ডিসেম্বর (সোমবার) বিকেল ৪ টায় রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন মিন্টু।
নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, "এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ রাজশাহী সদর আসনে ভালোই আছে।তেমন কোনো সহিংসতা ঘটে নাই।আমরা রাজশাহীর লোক নিরীহ মানুষ।আমরা চাই রাজশাহীতে সহিংসতা না হোক।এটাই আমাদের কাম্য"।
তিনি বলেন,আমরা আমাদের নিজস্ব গতিতেই অগ্রসর হচ্ছি সামনের দিকে।আল্লাহ যদি তৌফিক দেয় আমাদের কাজে সফলতা অর্জন করবো ইনশাআল্লাহ।এটা আমাদের দৃঢ বিশ্বাস।
লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল বলেন,গণতন্ত্রের নামে দেশে অত্যাচারি স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে।এখন দেশের মানুষ বাঁচতে চায়।আমরা দেশের মানুষকে একটি নতুন বাংলাদেশ উপহার দিবো।এবার সারা দেশে প্রার্থী দিয়েছে দল।সারাদেশ থেকে বিপুল ভোটে আমরা জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবো ইনশাআল্লাহ।এসরকার দেশে গণতন্ত্র রাখেনি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা রাখেনি।জনগণে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে জীবন ওষ্ঠাগত।উন্নয়নের নামে লুটপাট করা হয়েছে দেশের টাকা।এবার দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়।এ পরিবর্তনের হাওয়া রাজশাহীতেও লেগেছে।ফ্রী এন্ড ফেয়ার ভোট হলে রাজশাহী-২ আসনে লাঙ্গল ব্যপক ভোটে জয়ী হবে।
স্বপন আরও বলেন,নির্বাচনে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকায় থেকে কাজ করতে হবে।নির্বাচনে সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। দেশে নির্বাচনের নামে সিলেকশন চলছে।দেশের মানুষ ইলেকশনের নামে সিলেকশন চায় না।ভোটের নামে চেয়ার ভাগবাটোয়ারা হচ্ছে৷বর্তমানে চাইলেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।উন্নয়নের নামে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে লুটেরা।উন্নয়ন মানে শুধু অবকাঠামোর উন্নয়ন না, প্রকৃত উন্নয়ন হচ্ছে মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন।মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের দেশে হয়রানী করা হচ্ছে তা বিভিন্ন দেশে আলোচিত হচ্ছে।
স্বপন বলেন,কৃষি প্রধান একটি দেশে কৃষি অবকাঠামো ভেঙে ফেলে বিদেশী পন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে দেশ।যেহেতু রাজশাহী কৃষি প্রধান অঞ্চল।এই অঞ্চলে কৃষকদের নিয়ে কখনো কেউ চিন্তা করে নি।কৃষকরা যা তৈরি করে তার ন্যায্যমুল্য পায় না।তাই রাজশাহীতে আমি কৃষি ইপিজেড করে কৃষির উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
নারীদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,নারীদের জন্য সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।শিল্পায়ন ছাড়া এর কোনো বিকল্প নেই।রাজশাহী বিসিক শিল্প নগরী নিয়ে কেউ গুরুত্ব দেয়নি।তাই শিল্পায়নের বিষয়ে গুরুত্ব দিলে নারীদের রাজশাহীতে কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটবে ।
তিনি আরও বলেন,যদিও রাজশাহী শিক্ষানগরী তবুও শিক্ষার ব্যাপারে আমরা অনেকখানি পিছিয়ে আছি।আমি নির্বাচিত হলে শিক্ষাখাতের আরও উন্নয়ন করতে চাই।উন্নত বিশ্বের সাথে মিল রেখে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে কাজ করব।
সর্বশেষে ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন,আগামী ৭ জানুয়ারি আপনারা ভোট কেন্দ্রে আসুন এবং নির্বাচনে উৎসবমুখর তৈরি করুন।
এসময় রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন মিন্টু বলেন,শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে যদি সচ্ছ নির্বাচন হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি শতভাগ জয়ী হবে।এর মুল কারণ হিসেবে তিনি বলেন,পল্লী বন্ধু হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এ দেশের মূল অবকাঠামো গঠনে বড় বড় ভুমিকা পালন করেছে।রাজশাহী'র মুল অবকাঠামো উন্নয়নের শুরুটা তাঁর আমলে হয়েছে। প্রধান প্রধান অফিস আদালত, রাস্তাঘাটসহ অনেক জনপদের উন্নয়ন হয়েছে সে সময়ে।৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে দেশ বাঁচবে এই স্লোগান পল্লী বন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতিটি গ্রাম অবকাঠামো উন্নয়ন করছেন।এখনো মানুষ লাঙ্গল প্রতীকের পাগল।রাজশাহীতে নৌকা কাটবে কাঁচি আর জনগণ ভোট দিবে লাঙ্গলে।