করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পাড়িয়ালি আদর্শ বালিকা দাখিল মাদরাসার ২০ ছাত্রী বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বন্ধের বিভিন্ন সময় তাদের বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাল্য বিয়ের শিকার ছাত্রীদের মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির দুইজন, সপ্তম শ্রেণির চার, অষ্টম শ্রেণির ছয়, নবম ও দশম শ্রেণির চারজন করে রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাদরাসার সুপার আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে ছাত্রীরা বাল্য বিয়ের শিকার হচ্ছে। তার অভিযোগ, বাল্য বিয়ের খবর প্রশাসনকে দিয়েও তেমন কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
আব্দুল হালিম বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক স্তরে ১৫০ জন ছাত্রী রয়েছে। নভেম্বর মাসের শুরুতে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ার জন্য মাদরাসা খোলা হয়। এরপর কয়েকজন ছাত্রী না আসায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। তখন অনুপস্থিত সবার খোঁজ নিয়ে দেখি ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ২০ জনের বিয়ে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আগে কয়েকবার ছাত্রীদের বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে ইউএনওকে জানিয়েছি। থানা থেকে পুলিশ এনে এক ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করেছি। কিন্তু পরে আবার অভিভাবকরা বাইরের এলাকায় নিয়ে গোপনে তাদের বিয়ে দিয়েছেন। তাই করোনার বন্ধে ছাত্রীদের বিয়ের বিষয়টি প্রশাসনকে জানাইনি।’