নিজস্ব প্রতিবেদক
দুর্নীতি মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৮ জুলাই) বিকেলে অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদুল হক মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘গত সোমবার (২৬ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন। এটি শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযোগপত্রে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত চুমকি কারণ পলাতক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে তাদের ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকা জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে গত বছরের ২৩ আগস্ট ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারা, ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সাল থেকে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর সম্পদের হিসাব দাখিলের জন্য নোটিশ করা হলে একই বছরের জুন মাসে তারা সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে গত সোমবার (২৬ জুলাই) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
গত বছরের ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহতের বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে গত ৫ আগস্ট টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন।