ডেস্ক নিউজঃ আসর শুরুর আগের দিন স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। কারণ একাদিক ক্রিকেটারের চোট। বলা যায়, দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই আসর শুরু করেছিল লঙ্কানরা।
কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই অবাক করেছেন তারা। সেটা মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে। অথচ ফাইনালের বড় মঞ্চে এসে পুরো অচেনা দাসুন শানাকার দল।
ঘরের মাঠে খেলতে নেমে মোহাম্মদ সিরাজের সুইং আর পেসে রীতিমতো ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি অবস্থা। ফলে কোনো রকম প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছাড়াই শিরোপা জিতলো ভারত। এটা তাদের অষ্টম এশিয়া কাপ ট্রফি।
৫১ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের দুই ওপেনার উড়ন্ত সূচনা করে। গুভমন গিল ও ইশান কিশানের উদ্বোধনী জুটিতে সপ্তম ওভারেই ১০ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টিম ইন্ডিয়া। এই জয়ে অষ্টমবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলল ভারত।
এশিয়া কাপের ফাইনালে বড় প্রত্যাশা নিয়ে শুরুতে ব্যাটিং নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ব্যাট করতে নামতেই তাদের শুরুটা হলো দুঃস্বপ্নের মতো।
এক ওভারের গতি ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে লঙ্কানদের ব্যাটিং। পেসার মোহাম্মদ সিরাজ চতুর্থ ওভারে ৪ উইকেট নিয়ে শুরুতেই স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়েছেন।
১২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর উঁকি দিচ্ছিল ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে (৩৫) অলআউটের শঙ্কাও। তবে শেষ পর্যন্ত কুশল মেন্ডিসের ১৭ রানে ভর করে ৫০ রানে থামে লঙ্কানদের ম্যাচ।
অবশ্য ম্যাচের ঘন্টা দেড়েক পার না হতেই এদিন মাঠ ছাড়ে খেলা দেখতে আসা লঙ্কান ভক্তরা।