বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের নামে একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার আবরারের নিজ গ্রাম রায়ডাঙ্গাতে এটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ছোট ভাই আবরার ফায়াজ।
তিনি জানান, ভাইয়ের নামে নির্মিত ওই মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়ার পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্য কুরআন শিক্ষাও দেয়া হচ্ছে। মসজিদ ও মাদ্রাসাটি পাকা করা পরিকল্পনা রয়েছে এবং সম্প্রসারণ করা হবে বলেও তিনি জানান। এক্ষেত্রে সবাইকে এই কাজে অংশগ্রহণ করে সহযোগিতার ব্যবস্থা করার আহবান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ যেন সকল ব্যবস্থা সহজ করে দেন। আর মসজিদটিকে কবুল করে নেন। পাশাপাশি আমার ভাইয়ার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন ওকে শহীদ হিসেবে কবুল করে।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তিনি বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।