নিজস্ব প্রতিবেদক:: একতরফা নির্বাচন বর্জন এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষেভ মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ। হরতালের সমর্থনে শনিবার (৬ জানুয়ারী) সকাল ১১.৩০ টায় বিজয়নগর পানির টাঙ্কি, আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে মিছিলটি পল্টন মোড় ঘুরে বিজয়নগর মোড় হয়ে নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, 'ডামি নির্বাচনে ডামি ভোটার উপস্থিতি দেখানো হবে।
আগামীকাল কেও ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। সকলে ঘরে অবস্থান করুন। নিজ নিজ জায়গা থেকে গণকারফিউ পালন করুন। এই সরকার আপনাদের ভাত ও ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নিউজ হচ্ছে, দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নাই, আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠেছে। সংবিধান থেকে ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে গিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করলো? কারণ এই ব্যবস্থার অধীনে কেউ টানা ক্ষমতায় যেতে পারেনি। সেকারণে এই ব্যবস্থা বাতিল করে আওয়ামী লীগ বাকশাল-২ ঘোষণার পথে হাটছে।
দেশের জনগণকে বলবো, রাজপথে নামুন, প্রতিবাদ করুন। আর কত চুপ করে সহ্য করবেন? আমরা গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছি। আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থান রচিত হলে এই সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে।
রাশেদ খাঁন আরো বলেন, ২০১৪ ও ১৮ সালে কোন নির্বাচন হয়নি। ভোটকেন্দ্রে কুত্তাবিড়াল ঘোরাঘুরি করেছে।
আগামীকালের নির্বাচনে কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি করা হবে, ৫০-৬০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি দেখানো হবে। ডামি নির্বাচনে ডামি ভোটার থাকবে। বিদেশিদের দেখানো হবে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু জনগণ এই নির্বাচন বর্জন ঘোষণা করেছে।