সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় জলমহালের দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় এক জেলে নিহতের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন নিহতের ছেলে সুনই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি চন্দন বর্মণ।
লিখিত অভিযোগে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, তার ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুখন, মোবারক হোসেন মাসুদ এবং মোবারক হোসেন যতনসহ ৬৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সুনই জলমহাল পাড়ের সুনই গ্রামে গেলে নিহত চন্দন বর্মণ ক্ষুব্দ স্বজনরা তার সামনেই সংসদ সদস্যের ভাই মোজাম্মেল হোসেন রুখনের ফাঁসির দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।
ধর্মপাশার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, সুনই জলমহালে শ্যামাচরণ বর্মণ নামের জেলে খুনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের তদন্তে ঘটনার দিন সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সুনামগঞ্জে ছিলেন না। এরপরও তার নামে লিখিত অভিযোগ হওয়ায় মামলা গ্রহণে বিলম্বে হচ্ছে। যেহেতু সংসদ সদস্য ওখানে ছিলেন না, তাকে এভাবে আসামি করে মামলা গ্রহণ করলে যে কেউ যে কোনো সময় আসামি হতে পারে। বিষয়টি গভীরভাবে দেখা হচ্ছে।
নিহতের ছেলে সুনই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি চন্দন বর্মণ বলেন, সংসদ সদস্য রতনসহ ৬৩ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করেছি। আশা করি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দেয়া হবে।