ঢাকারবিবার , ৩০ মার্চ ২০২৫
  1. অপরাধ ও আদালত
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইসলাম ডেস্ক
  5. কৃষি ও অর্থনীতি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্য-প্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. নির্বাচন
  11. বানিজ্য
  12. বিনোদন
  13. ভিডিও গ্যালারী
  14. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
  15. রাজনীতি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘এটি আমাদের দুঃখের ঈদ, আমরা সব হারিয়েছি’

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
মার্চ ৩০, ২০২৫ ৭:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক:: মুসলিম বিশ্বজুড়ে যখন ঈদের আনন্দে মুখরিত চারপাশ, ঠিক তখনই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নেমে এসেছে ভয়াবহ শোকের ছায়া। ঈদের নতুন পোশাক রক্তে ভিজে গেছে, শিশুর হাসির বদলে কান্নার শব্দে ভারী হয়ে উঠেছে আকাশ। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ঈদের দিনও রেহাই দেয়নি নিরীহ ফিলিস্তিনিদের। গাজার ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ঈদের খুশি হারিয়ে গেছে, ঈদ এখানে শুধুই আরও একটি দিন, যেখানে বেঁচে থাকার লড়াইটাই বড় সত্য।

আজ রোববার (৩০ মার্চ) গাজাজুড়ে হামলায় অন্তত ২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন শিশু। আল-মাওয়াসিতে বিমান হামলায় নিহত তিন তরুণীকে ঈদের দিন নতুন পোশাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে। আল জাজিরার সানাদ যাচাইকরণ ইউনিট ওই ফুটেজ যাচাই করেছে।

উপত্যকার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে নিজ পরিবারের ২০ জন সদস্যকে হারিয়েছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘এটি দুঃখের ঈদ’, আমাদের প্রিয়জন, সন্তান, জীবন এবং আমাদের ভবিষ্যত সব হারিয়েছি। আমাদের ছাত্র, স্কুল এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানকে হারিয়েছি। আমরা সবকিছু হারিয়েছি।

এসব কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। মুসলমানদের ঈদুল ফিতরের উৎসবের মধ্যেও ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। সায়েদ আল-কুরদ নামের একজন বেলেছেন, এখানে হত্যা, বাস্তুচ্যুতি, ক্ষুধা এবং অবরোধ রয়েছে। আমরা বাচ্চাদের খুশি করার জন্য খোদার বিধান পালন করতে চাই, কিন্তু ঈদের আনন্দের নেই, কোনো ঈদ নেই।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। গাজায় বোমা বিস্ফোরণ, কামানের গোলার শব্দের মাঝে ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার আর্তনাদ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ঈদের আনন্দ উদযাপনের জন্য সমবেত হওয়ার পরিবর্তে লোকজন সকালের দিকে প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করেছেন।

আল জাজিরার সংবাদদাতা তারেক আবু আজজুম বলেন, আল-আকসা হাসপাতালের এক মর্গে আমি একজন ফিলিস্তিনি মাকে দেখেছি, যিনি বাবাকে বিদায় জানাতে নিজের মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। ওই ব্যক্তি শনিবার ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।