কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি।। নোয়াখালীর বসুরহাটে সংঘর্ষের জেরে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাস্তাঘাটসহ অন্যান্য স্থানে জনসমাগম বেশ কম। বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকলেও বেশ আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা।
নোয়াখালীর বসুরহাটে অন্যান্য ছুটির দিনে হাটবাজার আর শপিংমলে ভিড় থাকলেও শুক্রবারের (১২ মার্চ) পরিস্থিতি বেশ ভিন্ন। নিতান্ত প্র্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসা মানুষের মনে আতঙ্ক।
স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘এই দুই গুপের রেশারেশির কারণে আমরা পুরো কোম্পানীগঞ্জবাসী আতঙ্কের মধ্যে আছি। বাজারে আসতেও ভয় লাগে। এই কয়েকজন নেতাকে যদি ওপর মহল থেকে ডেকে মিটমাট করে দেয় তাহলে এখানে আর সমস্যা থাকবে না বলে মনে করি।
প্রভাব পড়েছে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জের জনজীবনে কাম্য নয় বলে দাবি করে স্থানীয়রা বলছেন, গত আড়াই মাস ধরে রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে পুরো উপজেলা জুড়ে এমন পরিস্থিতি।
বসুরহাট বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে এই দুই গ্রুপের কোন্দলের কারনে আমরা দোকান খুলতে পারছি না। দেখা গেছে সকালে এসে দোকাল খুললে আবার দুই গ্রুপের ঝামেলার কারণে আতঙ্কে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাওয়া লাগে। এভাবে চলতে থাকলে তো আমাদের পথে বসতে হবে।'
পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে। তারা জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে, মঙ্গলবারের (৯ মার্চ) সংঘর্ষের ঘটনায় পৌরসভার নৈশ প্রহরী বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও আড়াইশ থেকে তিনশজনকে আসামি করা হয়। বৃহস্পতিবার মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পৌর মেয়র মির্জা কাদেরের সাথে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের বিরোধের জেরে দু'বার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক সাংবাদিক ও এক সিএনজি চালকের প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।