ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এক আম্পায়ার করে বসলেন মামলা,ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
ডিসেম্বর ৩১, ২০২০ ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জন হোল্ডার। সাবেক টেস্ট এবং কাউন্টি ক্রিকেটের আম্পায়ার। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীনে চাকরি করাকালে বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। শুধু তাই নয়, এই অভিযোগ এনে সরাসরি আদালতে ইসিবির বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকে দিয়েছেন তিনি।

মাস খানেক আগেই ইএসপিএন ক্রিকইনফো আবিস্কার করে যে, ইংলিশ ক্রিকেটে অশেতাঙ্গ আম্পায়ার কিংবা ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করা হয়। জন হোল্ডারই নন শুধু, নভেম্বরে ইসমাইল দাউদসহ (যিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইসিবির রিজার্ভ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন) দাবি তোলেন- অশেতাঙ্গ আম্পায়রাদের সঙ্গে অসদাচরণের একটি সঠিক তদন্ত করা হোক।

এবার সেই দাবিতে জন হোল্ডার আদালতের কাঠগড়াতেই তুলতে চলেছেন ইসিবিকে। ইংলিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডে প্রনয়ন করা সমতা বিষয়ক আইনের ধারা মোতাবেকই এই মামলা দায়ের করেছেন তারা।

এই মামলার উদ্দেশ্য মূলতঃ বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়ে তারা যে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছিলেন, তার ক্ষতিপূরণ আদায়। একই সঙ্গে এমপ্লয়মেন্ট ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্কতা জারি করা যে, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হয়।

৭৫ বছর বয়সী হোল্ডার ক্রিকেট খেলেছিলেন হ্যাম্পশায়ারের হয়ে। এরপর ১৯৮৩ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট পরিচালনার জন্য ইসিবির আম্পায়ার হিসেবে প্যানেলভূক্ত হন। ১৯৮৮ সালে আন্তর্জাতিক ম্যাচও পরিচালনা শুরু করেন। আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে মোট ১১টি টেস্ট এবং ১৯টি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করেন তিনি। ২০০৯ সাল পর্যন্ত কাউন্টি ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এরই মধ্যে ইসিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, নানা ক্ষেত্রে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তারা অশেতাঙ্গ চাকরিপ্রার্থীদের এড়িয়ে যায়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কর্মকর্তা হিসেবে সর্বশেষ অশেতাঙ্গ নিয়োগ দিয়েছিলন তারা ১৯৯২ সালে ভ্যানবার্ন হোল্ডারকে।

জন হোল্ডার ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘আমি ইংল্যান্ডে ৫৬ বছর ধরে বসবাস করছি। আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, এ ধরনের বর্ণবাদের শিকার আমি আর কোথাও হইনি। কিন্তু আপনি যখন এই জায়গায় (ইসিবি) এ ধরনের বর্ণবাদের অভিযোগগুলোর দিকে তাকাবেন, তখন আপনি আর কোনোভাবেই উপসংহারে পৌঁছাতে পারবেন না (যে কিভাবে এখানে এগুলো ঘটছে)।’

তিনি আরো বলেন, ‘যখন আমি আইসিসি থেকে অবসর নিয়েছি, তখন ইসিবির কাছে আবেদন করেছি যে, আমি আম্পায়রাদের মেন্টর হিসেবে কাজ করতে চাই। কিন্তু বিশ্বাস করুন, ইসিবি সৌজন্যতামূলক একটু যোগাযোগও করেনি।’

দাউদ ইসমাইল নামে, যিনি ১১ বছর চারটি কাউন্টি দলের হয়ে খেলেছেন, আরেক অশেতাঙ্গ আম্পায়ার অভিযোগ করে বলেন, ‘সাউন্ড অ্যান্ড টেকনিক্যাল আম্পায়ার হিসেসে স্বীকৃতি পাওয়ার পরও দীর্ঘদিন আমাকে কোনো প্রমোশন দেয়া হয়নি। বরং, সব সময় এড়িয়ে গেছে তারা।’

নভেম্বরে ক্রিকইনফো যে রিপোর্ট করেছিল এ নিয়ে, তখন তার জবাবে ইসিবি বলেছিল- তারা একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করবে, যেন তাদের এ ধরনের প্যানেলগুলোতে শেতাঙ্গ-অশেতাঙ্গ বৈচিত্র্য আনা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন